ঢাকা, শুক্রবার ১০, মে ২০২৪ ১২:২৫:৫৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

হোমনায় শাড়িতে নকশার কাজে ব্যস্ত কারিগররা 

ফিচার ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৩ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার শাড়ি পল্লী খ্যাত আলিপুরে শাড়িতে নকশা তোলা আঁড়ি মেশিনের ঝিনঝিন শব্দে সুন্দর সুখের স্বপ্ন বুননে ব্যস্ত কারখানার শ্রমিকরা। 

উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে গেলে আঁড়ি মেশিনের ঝিন ঝিন শব্দই বলে দেয় স্বনির্ভর গ্রামটির অবস্থানের কথা। এক অনাগত ভবিষ্যতের সুন্দর স্বপ্ন বুনায় আত্মনিয়োগ করেছেন নকশা পল্লীখ্যাত আলীপুর গ্রামের কয়েকজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। 

শাড়িতে নকশা তোলার কাজ করে স্ববলম্বী হয়েছে আলীপুর গ্রামের অনেক পরিবার। এ কাজে স্বচ্ছলতা এবং স্বাচ্ছন্দ দুই-ই এসেছে তাদের। একটি শাড়ি জমকালো ও মোহনীয় করতে প্রথম ধাপে করতে হয় আঁড়ির নকশা। তারপর পুথি, পাথর, চুমকি ছাড়াও করতে হয় আরো অনেক সুঁচিকর্ম। দিন দিন এর চাহিদা বাড়তে থাকায় বর্তমানে ওই গ্রামে ৫০ টিরও বেশি আাঁড়ি কারখানা গড়ে উঠেছে। 

সম্প্রতি সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আঁড়ি শিল্পে ভাগ্য বদলেছে উপজেলার দড়িচর, নোয়াগাঁও, ভিটি কালমিনাসহ আরো কয়েকটি গ্রামের খেঁটে খাওয়া মানুষগুলোর জীবনে। প্রত্যেকের বাড়িতেই টিনশেড বিল্ডিং। প্রত্যেকের মুখেই স্বাচ্ছন্দের হাসি।  

জানা যায়, এ গ্রামেরই গাজী আবদুল বারেক নামের এক ব্যক্তি প্রথম এ কাজ শুরু করেন। তারপর উদ্যমী কিছু লোককে এ পেশায় আত্মনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি। ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেকার সময় কাটানোর মতো লোক এ গাঁয়ে এখন আর পাওয়া যাবে না।

কারখানা শ্রমিক আলমগীর বলেন, প্রতি সপ্তাহে এক এক জন শ্রমিক ৫-৮ টি শাড়িতে নকশা তুলে দুই/আড়াই হাজার টাকা রোজার করতে পারছে। আলীপুর গ্রামের আঁড়ি শিল্পীরা সারা বছরই এ কাজে ব্যস্ত থাকেন। 

আলীপুর গ্রামের একটি কারখানার মালিক লিটন বলেন, ঢাকার বড় বড় শপিং কমপ্লেক্সের দোকানের মালিকরা তাদের অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে থাকেন। তাদের দেওয়া ডিজাইন অনুযায়ী কাজ করে তাদের মাল ডেলিভারী দেওয়া হয়। 

তিনি আরও বলেন, গ্রামের ছেলে মেয়েরা এ কাজ করে সবাই এখন দক্ষ কারিগর হয়ে ওঠেছে। সবাই এখন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকছে।