ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ৩:৫৯:২৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সাভারে ঈদ বাজার জমজমাট

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ৫ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৫৪ পিএম, ৯ জুন ২০১৮ শনিবার

ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদ বাজার। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনার ধুম। অভিজাত বিপণী বিতান থেকে ফুটপাত পর্যন্ত প্রতিটি দোকানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ক্রেতার ভিড়।

 

দম ফেলার ফুরসত নেই দোকানিদের। বিক্রেতারা বলছেন, কাস্টমারদের অনেক চাহিদা। চাহিদা অনুযায়ী আমরা মাল দিতে পারছি না। আশা করছি এবছর ভালো বেচাকেনা হবে। অন্যান্য পোশাকের তুলনায় বাইরের পোশাকগুলোর চাহিদা বেশি।

 

এবারের ঈদে সাভারে ভারতীয় থ্রিপিচের আমদানি প্রচুর, বিক্রিও বেশি। প্রথমদিকে থানকাপড় ও এখন বাচ্চাদের পোশাক, থ্রিপিচের দোকান ও রেডিমেড কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। সাভার সিটি সেন্টার, নিউ মার্কেট, অন্ধ মার্কেট, কেরাইশী মার্কেটসহ সব মার্কেটে জমে উঠেছে ঈদ বাজারের বেচাকেনা। শাড়ি ও থ্রিপিচের দোকানে ভিড় বেশি কিশোরী, তরুণী ও মহিলাদের। সবাই খুঁজছে নতুন ডিজাইন ও বৈচিত্র্যময় রঙ।

 

সাভার সিটি সেন্টার থেকে মেয়ে আদৃতাকে নিয়ে মার্কেটে এসেছেন মুন্নি। বলেন,গরমের মধ্যে সাভারের এ মার্কেট থেকে কেনাকাটা করে শান্তি পাওয়া যায়। আমি আদৃতার জন্য দুইটা জামা কিনলাম। দাম নিল ৯০০০ টাকা।

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মায়শা ও বর্ষা বলেন, এখানে অনেক সুন্দর ও ভাল মানের পোশাক আছে। পছন্দ হলে দামে বনলে কিনে নিয়ে যাবেন।

 

হাতে সময় নিয়েই এবার ঈদ বাজারে কেনাকাটা শুরু করেছেন এই এলাকার ক্রেতারা। অভিজাত মার্কেট ছাড়াও সাভার বাজারের বিভিন্ন রাস্তার মোড়সহ বিভিন্ন ফুটপাতে অল্প আয়ের মানুষেরা ভিড় জমাচ্ছেন। তারা পবিত্র ঈদ উদযাপন করার জন্য যার যার পছন্দ অনুযায়ী জিনিসপত্র কিনছেন। ধনী ও মধ্যবিত্তদের পাশাপাশি পেছনে নেই অল্প আয়ের মানুষরাও।

 

সাভারে কেনাকাটা জমজমাট হলেও একেবারেই বিপরীত চিত্র গার্মেন্টস এলাকা খ্যাত আশুলিয়ায়। এখানে বেশিরভাগ মানুষ গার্মেন্টসে কাজ করে জীবন চালায়। এখনও এখানকার কেউই বেতন বোনাস পায়নি। তার উপর ঈদের আগে গার্মেন্টসে অতিরিক্ত কাজ থাকে। যার ফলে মার্কেট করা তো দূরে থাক, দম ফেলারও সময় পান না।

 

কথা হল গার্মেন্টস কর্মী খাদিজার সাথে। খাদিজা বলেন,আমি এসবি নীটিংয়ে কাজ করি। এখনও গত মাসের বেতন পাইনি,বোনাস তো পরের কথা। সব টাকা পাওয়ার পর মার্কেট করতে যাব। ক্যাপ ফ্যাক্টরি প্রাইম ক্যাপে কাজ করেন বিথী। তিনি বলেন, বেতন পাইতে পাইতে ১০ তারিখ পার হয়ে যায়। এখন তো অনেক কাজ। বেতন, বোনাস পেলে কোনাকাটা করমু। বাসার সবার জন্য মার্কেট করমু। আশুলিয়ায় ভাল মানের কোন মার্কেট নেই।

 

হাশেম প্লাজা, শমসের প্লাজা, বলিভদ্র মার্কেট, পল্লীবিদ্যুৎ মার্কেটে ভাল মানের কাপড় পাওয়া যায়। এছাড়া জামগড়াতেও তিনটি মার্কেট আছে। তবে এসব মার্কেট এখন পুরোই ফাঁকা। শমসের প্লাজার ইতি ফ্যাশনের মালিক মিঠু বলেন, বেচাকেনা একদমই নাই। আজকে তো বনিই করতে পারি নাই। এখন বেতন বোনাস দেই নাই কোন ফ্যাক্টরি। বেতন, বোনসের পর জমবে এদিকের বাজার।

 

এদিকে ব্যবসায়ী নেতাদের কথা যদি ঠিক থাকে তাহলে আগামী ১০ জুনের মধ্যে মে মাসের বেতন, ১৪ জুনের মধ্যে ঈদের বোনাস পাবেন পোশাক খাতের শ্রমিকেরা। সেক্ষেত্রে ১০ তারিখ থেকেই আশুলিয়ার মার্কেটগুলো জমে উঠবে সাধারন মানুষের পদচারনায়।