প্রায় ২০ হাজার ভাষায় কথা বলে ভারতবাসী
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ১১:৩৩ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৫৭ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৮ বুধবার
আঞ্চলিক ভাষার প্রাধান্য বাড়ছে সংবিধানে৷ মাতৃভাষার মর্যাদা পাচ্ছে বহু আঞ্চলিক ভাষা৷ সংখ্যাতত্ত্বে নজর দিলে চোখ কপালে উঠবে৷ সমীক্ষা অনুসারে ভারতে মাতৃভাষার সংখ্যা ১৯,৫০০-র কাছাকাছি৷
১২১ কোটির দেশে ১২১ টি ভাষায় কথা বলেন অন্তত ১০,০০০ -র বেশি মানুষ৷ আদমসুমারি কমিশনের তথ্য অনুযায়ী,ঘরে ঘরে যখন সমীক্ষা চলে,তখন প্রত্যেক সদস্যের মাতৃভাষাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়৷ কোনও পরিবারে মিশ্র ভাষার মানুষ বাস করলে তাদের প্রত্যেকের ভাষাকেই মাতৃভাষার মর্যাদা দেওয়া হবে বলে জানায় কমিশন৷ সেই সূত্র ধরেই ২০১১ সালের সমীক্ষা অনুসারে মাতৃভাষার সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯,৫৬৯৷
সাংবিধানিক ব্যখ্যায়, মোট ১২১টি ভাষা নথিভুক্ত৷ এই ১২১ ভাষাও দ্বিবিভক্ত৷ সংবিধানের অষ্টম নিয়ম অনুসারে ২২ ভাষা সরাসরি সাংবিধানিক৷ ৯৯টি ভাষা সংবিধানে না থাকলেও আঞ্চলিক খাতে গ্রহণযোগ্য৷ সমীক্ষা বলছে ২০১১ সালে ৯৯,২০০১ সালে এই সংখ্যাই ছিল ১০০৷ ২০১১ সালে বাদ পড়ে সিমতে ও পার্সিয়ান ভাষা৷ দেশের মোট জনসংখ্যার ৯৬.৭১ শতাংশ মানুষই সাংবিধানিক ভাষাকে সামনে রেখেই মাতৃভাষা স্থির করেন৷ বাকি ৩.২৯ শতাংশ মানুষ অন্য ভাষাকে আপন করেন৷ সাংবিধানিক
মোট ২২টি ভাষা হলো, অহমিয়া, বাংলা, গুজরাতি, হিন্দি, কন্নড়, কাশ্মীরি, কোঙ্কানি, মালায়ালাম, মনিপুরি, মারাঠী, নেপালি, ওড়িয়া, পঞ্জাবি, সংস্কৃত, সিন্ধি, তামিল, তেলেগু, উর্দু, বোরো, সানথিলি, মৈথিলি ও ডোগ্রি৷
এর মধ্যে মোট ১৪ ভাষা সংবিধান লেখার সময়ই স্বীকৃত৷ ১৯৬৭ সালে যোগ হয় সিন্ধি৷ তারপর আরও অনেক আ়্চলিক ভাষা৷ ২০০৪ সালে যোগ হয় বোডো,ডোগরি,মৈথিলি ভাষা৷ এই সমস্ত আঞ্চলিক ভাষার ভেতরেও বিভিন্নতা আছে৷ গোষ্ঠী বা বসতি বিশেষে ভিন্ন হয় প্রত্যেক আঞ্চলিক ভাষা৷ সেই ভাষাগুলোকে জুড়লেই দেশের মাতৃভাষা দাঁড়ায় ১৯,৫০০-র বেশি৷
