ঢাকা, শুক্রবার ১৭, মে ২০২৪ ৪:২৫:৪৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

যশোরে শীতের তীব্রতায় বেড়েছে রস-গুড়ের চাহিদা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

শীতের কুয়াশামাখা ভোরে টুপটাপ ঝরে পড়ে শিশির বিন্দু৷ সূর্যের স্নিগ্ধ আলো ফোটার আগেই কুয়াশাছন্ন মেঠো পথ দিয়ে মাঠের দিকে ছুটছে আবুজার রহমান, রফিকুল ইসলাম, তৌহিদুর রহমান, ওহিদুল ইসলাম ও আজিজুর রহমান। মাঠে গিয়ে খেজুর গাছ থেকে যে রস সংগ্রহে ব্যস্ত। শীতের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রস-গুড়ের চাহিদা। কেননা সকাল সকাল রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করে বাজারে নিতে হবে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, যশোরে প্রায় ১৬ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ খেজুর গাছ রয়েছে। যার মধ্যে পূর্ণবয়স্ক গাছের সংখ্যা ৯ লাখ ৭৫ হাজার। এরমধ্যে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার গাছ থেকে রস আহরণ করে তৈরি করা হচ্ছে গুড়। গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

যশোরের বিভিন্ন উপজেলার গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ছোট-বড় চুলায় চলছে রস জ্বাল দেওয়ার কাজ। এ গ্রামের অধিকাংশ পুরুষই কৃষি কাজের পাশাপাশি (খেজুর গাছ কাটা) গাছি পেশায় নিয়জিত আছে। মাঠের খেজুর গাছ থেকে রস নামিয়ে তা বাড়িতে আনা হয়। এরপর উঠানের বড় উনুনে তাফাল বসিয়ে তাতে ঢালা হয়। আস্তে আস্তে জ্বাল দিতে হয় ও রস নাড়তে হয়। এভাবেই তৈরি হয় ঝোলা গুড় এবং পাটালি গুড়। এ প্রক্রিয়াটি করতে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। এর সে গুড় পাটালি গুলো দূর দুরন্ত থেকে অনেকে কিনতে আসে আবার অনেকে ভাড়ে করে হাটবাজার নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে।

গাছিরা জানান, জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে যশোরে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের থেকে তুলনামূলক রস ঝরার পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ক্রেতাদের চাহিদা মিটিয়ে লাভের মুখ দেখছেন গাছিরা। শীতে বেড়েছে রস, যশোরে তৈরি হবে শত কোটি টাকার গুড়

আবুজার রহমান নামে ওই গ্রামের এক গাছি বলেন, সকাল হলেই এই গ্রামের মধ্যে দিয়ে হাঁটলে রসের মিষ্টি গন্ধে প্রাণ ভরে যায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক ড. সুশান্ত তরফদার বলেন, এ বছর গুড়ের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের নানা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গাছি তৈরি, তাদের সরঞ্জাম প্রদান এবং রপ্তানিমুখী করার জন্য