কুমিল্লা সদর যেন শীতের পাখির মিলনমেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:৪৫ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার
সংগৃহীত ছবি
কুমিল্লার সদরে কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের পতিত জমি কয়েক শত সাদা বকের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এ এলাকার পতিত জমিতে প্রতিদিনই ঘুরে বেড়াচ্ছে সাদা ডানার এসব পাখিরা। জমির বিভিন্ন অংশে হালচাষ করছে কৃষকরা, জমিতে অল্প পানির মধ্যে সাদা বকেরা তাদের খাদ্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে অবাদ।
স্থানীয়রা জানান, বছরের এ সময়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের দেখা মেলা এই এলাকায়। প্রায় কয়েক শ বকের দেখা পাওয়া যায়। এ দৃশ্য দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে কত লোকে। স্থানীয়রা বলছেন, যতই শীত ঘনিয়ে আসছে ততই তাদের সংখ্যাও বাড়ছে ।
গোফরান আহমেদ নামে একজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বেশ কয়েক বছর ধরেই শীতের মৌসুমে এসব পাখি
এই এলাকায় এসে আশ্রয় নেয় খাবারের সন্ধানে। শীতের পর তাদের আর দেখা পাওয়া যায় না। ওরা শীতের শুরুতেই ওই এলাকার পুকুরপাড় ও এর আশপাশের গাছগুলোতে তৈরি করে আবাসস্থল। সারাদিন সাদা বকেরা আধাজলে ছোট ছোট পোকা মাকড় ও মাছের খুঁজে উৎত পেতে থাকে। পুকুর ও আশপাশের জলাশয় থেকে মাছ শিকার করে। আধা জলে ওদের ডুবসাঁতার ও ওড়াউড়ির দৃশ্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। যার ফলে ওই এলাকায় দিন দিনই বাড়ছে পাখিপ্রেমী ও বিভিন্ন বয়সের দর্শনার্থীদের সংখ্যা। পাখি শিকারী থেকে পাখিগুলোকে সুরক্ষা দিতে স্থানীয়রা সাদা বকগুলোর দিকে সুদৃষ্টি রাখছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল হোসেন বলেন, শীতকাল থেকে সাদা বকেরা এ এলাকায় আসতে শুরু করে, আবার শীত শেষ হতে না হতেই যেতে শুরু করে। তাদের কলকাকলিতে এ এলাকা মুখরিত হয়ে থাকে।
আমির হোসেন বলেন, দাদা-দাদির কাছ থেকে শুনেছি কোনো এক সময় গ্রামবাংলার প্রায় প্রতিটি পুকুরের জলে সাদাবক দেখা যেতো। এখনতো সচরাচর তাদের দেখাই যায় না। যে কারণে এখানে এতো বক একসাথে দেখে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন অনেকেই আসে পাখিগুলোকে দেখতে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) আইয়ুব মাহমুদ বলেন, সাদাবক একটি অতিপরিচিত পাখি। বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলে তাদের বেশি দেখা যায়। তবে তুলনামূলকভাবে এ এলাকায় সংখ্যা তেমন একটা নেই। খাবারের সন্ধানে প্রকৃতির নিয়মে তারা আসে এখানে। আমাদের দেশ থেকে পাখি বিলুপ্ত হওয়ার প্রধান কারণ দিন দিন বন উজাড় হওয়া ও গাছগাছালি কমে যাওয়া। পাখিদের বিলুপ্তির হাত থেকে ধরে রাখতে হলে তাদের বসবাসযোগ্য অভয়াশ্রম তৈরি করে দিতে হবে।