ঢাকা, মঙ্গলবার ১০, ডিসেম্বর ২০২৪ ৫:৫৫:৪৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

জেনে নিন বিমানবন্দর নেই যে সব দেশে

আফসা আহমেদ আলমি

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২৩ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৪ শুক্রবার

অ্যান্ডোরার একটি দৃশ্য

অ্যান্ডোরার একটি দৃশ্য

শুনতে অবাক লাগলেও, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ রয়েছে যে সকল দেশের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর নেই। তাহলে মাথায় প্রশ্ন জাগতে পারে,সেই দেশের মানুষ কিভাবে যাতায়াত করে? 

ইউরোপে এমন পাঁচটি দেশ রয়েছে যারা অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ তবে এদের নিজস্ব কোন বিমানবন্দর নেই। এর কারণ হচ্ছে দেশগুলোর  ভূ-প্রকৃতি খুব ছোট এবং বেশিরভাগ অংশ পাহাড়ি এলাকা। যার কারণে দেশগুলোতে বিমানবন্দর নেই। তারা প্রতিবেশী দেশগুলোর বিমানবন্দর ব্যবহার করে। এর ফলে তাদের তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।

এমন পাঁচটি দেশ হলো:

ভ্যাটিকান সিটি: পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ হচ্ছে ভ্যাটিকান সিটি যার আয়তন মাত্র দশমিক ৫৪ বর্গ কিলোমিটার। দেশটিতে বিমান উঠানামার যথেষ্ট জায়গা নেই। ভ্যাটিকান সিটিতে যেতে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ রোমের সিয়ামপিনো আর ফিওমিচিনো বিমানবন্দর ব্যবহার করা হয়। সিটি থেকে প্রায় ৩০ মিনিটে পৌঁছানো যায় বিমানবন্দরে। ভ্যাটিকান সিটিতে একটি হেলিপোর্ট রয়েছে যা শুধু মাত্র সরকারি লোক বা কর্মকর্তারা তাদের কাজে ব্যবহার করে থাকে।

মোনাকো: বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ হচ্ছে মোনাকো যা পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য। ২.১ বর্গ কিলোমিটার দেশটিকে তিন দিক থেকে ঘিরে রয়েছে ফ্রান্স। মোনাকোতে যেতে হলে প্রথমে বিমান করে যেতে হবে ফ্রান্সে ‘করতে দে জিও’ বিমানবন্দরে। সেখান থেকে ক্যাব অথবা নৌকায় করে যাওয়া যাবে মোনাকোতে।

সান মেরিনো: ভ্যাটিকান সিটির মতো সানমেরিনোকে ঘিরে রয়েছে ইতালি। এই দেশটির আয়তন ৬১ বর্গ কিলোমিটার। এই দেশটিতে রয়েছে অনেক পাহাড়। এখান থেকে ইতালির ‘রিমিন’ বিমানবন্দর বেশ কাছে।

লিচেনস্টাইন: এ দেশের আয়তন ১৫৮ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। দেশটির বেশিরভাগই পার্বত্য অঞ্চল। বিমান ওঠানামা জায়গার কমতির কারণে এখানে বিমানবন্দর নেই। সুইজারল্যান্ডের ‘সেন্ট গ্যালেন আ্যলটেন রাইট’ এবং জার্মানির ‘ফ্রেডচ শ্যাকেন’ বিমানবন্দর ব্যবহার করে এই দেশের জনগণ।

অ্যান্ডোরা: ফ্রান্স এবং স্পেনের মাঝে অবস্থিত অ্যান্ডোরার আয়তন ৪৬৮ বর্গ কিলোমিটার। অ্যান্ডোরাকে ঘিরে রয়েছে ‘পিরেনিচ’ পর্বতমালা। দেশটিতে প্রায় তিন হাজার মিটার উচ্চতার চূড়াও রয়েছে। যার কারণে এখানে বিমান ওঠানাম করা সহজ নয়। তবে বার্সেলোনা লেড়িদা কিংবা জিরোনার মতো শহরগুলো অ্যান্ডোরার মোটামুটি ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। বাকি চার দেশের তুলনায় বেশ বড় অ্যান্ডোরা। অ্যান্ডোরাতেও কোন বিমানবন্দর নেই। তবে তিনটি প্রাইভেট হেলিপোর্টস রয়েছে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে হসপিটাল হেলিপ্যাড। একটি জাতীয় হেলিপ্যাড বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে সে কাজ এখন স্থগিত রয়েছে।