ছোট্ট সোনামণিদের ঈদ পোশাক
সালেহীন বাবু
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৮:৫৩ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০২:১৩ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৮ রবিবার
ঋতু অনুযায়ী এখন বর্ষাকাল, শ্রাবণের বিদায়ঘন্টা বাজছে। একদিকে বৃষ্টি সাথে মৃদুল হাওয়া অন্যদিকে রোদ উঠলে ভ্যাপসা গরম। এ বৈরি আবহাওয়ায় এবারের ঈদে আরামদায়ক সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন ছোট্ট সোনামণিদের অভিভাবকরা।
তবে ঈদে শিশুরা রঙিন জামাই পছন্দ করে বেশি। কারণ ওদের রঙিন স্বপ্নের সাথে যদি রঙিন জামাটার রঙ হুবুহু মিলে যায় তাহলে খুশির সীমা থাকেনা। বছরের সবসময়ই শিশুদের পোশাক কেনা হলেও ঈদে বাচ্চাদের রঙিন জামা পড়ার প্রতিযোগিতা অতীতেও ছিল এখনও আছে। এখনকার বাচ্চারা দুরন্ত,ছটফটে। একজায়গায় বসে থাকবে ? প্রশ্নই আসেনা। সবার বারণ সত্বেও শিশুটি ছুটছে তো ছুটছেই। এই ছুটোছুটির মধ্যেই অভিভাবকরা খুঁজে নিচ্ছেন এবারের ঈদে শিশুর পছন্দের জামাটি।
রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, এলিফ্যান্ট রোড, নিউ মার্কেট, আড়ং, চাঁদনী চক, গাউছিয়া, বেইলি রোড, মৌচাক মার্কেট, মাস্কট প্লাজাসহ বিভিন্ন মার্কেটে শিশুদের রঙবেরঙের জামার বাহার দেখা গেল।
বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে সুতি ও লিনেনের পোশাক। শিশুরা আবার ঈদে জমকালো পোশাক ছাড়া পড়তে চায়না। সেই চিন্তা মাথায় রেখে এবারের জমকালো পোশাকগুলোর ভেতরে থাকছে সুতির আস্তর। ফলে শিশুটি জামা পড়লেও তার এত বেশি গরম লাগবেনা।
মেয়ে শিশুদের জন্য ফ্রক, স্কার্ট, নানা রকম টপ, থ্রিপিস, কামিজ এমনকি শাড়িও বিক্রি হচ্ছে। বড় মেয়েদের মত ঈদে অনেক মেয়ে শিশুকেও শাড়ি পড়তে দেখা যায়। তবে মেয়ে শিশুদের স্কার্টের ধারে,শাড়ির পাড়ে,কামিজের কিনারে ঝালরের চলন শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র পোশাকটিকে আরও জমকালো আরও নান্দনিক করার জন্যই এরকম করা হয়েছে।
ছেলেশিশুদের জন্য পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, হাফ হাতার শার্ট, নরম হাফপ্যান্ট, ফুল প্যান্ট, ফতুয়াই বেশি কিনছে ক্রেতারা। তবে ফুল হাতা শার্টের ক্রেতা কম।এগুলো সুতি কাপড়ের পাওয়া যাচ্ছে বেশি। তবে তা জমকালো করার জন্য পোশাকের কলারগুলোতে রঙিন নকশা করা হয়েছে। এছাড়া পোশাকেও ব্লকপ্রিন্ট ও লেইসের নকশা দেখা যাচ্ছে। এভাবে একই সাথে গরমে আরাম ও ঈদের স্টাইলটাও অটুট থাকবে বাচ্চাটির জামায়।
দেশি পোশাকের ফ্যাশান হাউসগুলোতে এক দিন বয়সী থেকে শুরু করে ১৪ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের জন্য তৈরি পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এসবের বিক্রিও চলছে বেশ। মাস্কট প্লাজায় বেবি শপে গিয়ে দেখা যায়, ৮০০ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে শিশুদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দোকানে নকশা ও কাপড়ের ওপর নির্ভর করে আট শ থেকে সাত হাজার টাকার মধ্যে শিশুদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।
বসুন্ধরা শপিন মলে কথা হয় মাহবুবা আক্তারীর সাথে। বলেন, কয়েকদিন ধরে দেশের পরিস্তিতি খারাপ হওয়ায় বের হতে পারিনি। আজকে বের হলাম আমার ছেলে শাফিনকে নিয়ে। অনেক জামাই দেখলাম। ও যেটা পছন্দ করে তাই কিনে দেব। আমার পছন্দ ওর আবার ভাল লাগেনা।
মৌচাক মার্কেটে মেয়ের জন্য পার্টি ফ্রক কিনছিলেন ব্যবসায়ী জাহানারা আলম। বলেন, আমার মেয়ে জমকালো পোশাক বেশি পছন্দ করে দাম বেশি হলেও নিয়ে নিলাম। মেয়ের খুশিই আমার কাছে সব।