ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:০৮:৩৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দিনাজপুরে শপিংয়ে জমজমাট ‘বউ বাজার’

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:০৬ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২৫ রবিবার

বউ বাজারে পোশাক কিনতে আসা নারী ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ছবি: বাসস

বউ বাজারে পোশাক কিনতে আসা নারী ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ছবি: বাসস

দিনাজপুর শহরের একটি বাজার। এ বাজারের প্রায় সব ক্রেতাই নারী। তাই নাম হয়েছে ‘বউ বাজার’। বড় বড় দোকান ও শপিংমলগুলোর চেয়ে অনেক কম দামে পোশাক কিনতে পাওয়া যায় ব্যতিক্রমধর্মী এই বাজারে। এ কারণে কেনা-কাটা করে বেজাই খুশি ক্রেতারা।

জানা গেছে, প্রত্যেক শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের মালদহপট্টি, চকবাজার ও বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় বসে বউ বাজার। সকাল থেকে ভিড় দেখা যায় বাজারে। বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিড় বাড়তে থাকে।

বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বড় দোকান ও শপিংমলের মতো খরচ না থাকায় একই মানের পোশাক এখানে কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে পারেন তারা। নারী ও শিশুদের পছন্দের পোশাক যেমন-সালোয়ার-কামিজ, টু-পিস, থ্রি-পিস ও গেঞ্জিসহ বিভিন্ন ধরনের বাহারি পোশাক পাওয়া যায় এ বাজারে। এছাড়া পাওয়া যায় শাড়ি-বোরখাসহ পোশাক তৈরির বিভিন্ন প্রকার থান কাপড়। তুলনামূলক দাম কম হওয়ার কারণে সপ্তাহের এক দিন শুক্রবারে বউ বাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় হয়।

জানা গেছে, এই বাজারের দোকানিরা শহরের বড় বড় দোকান বা শপিংমলের কর্মচারী। তারা সপ্তাহের ৬ দিন মহাজনের কাজ শেষে শুক্রবার বউ বাজারে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করেন।

গত শুক্রবার (১ আগস্ট) বউ বাজারে পোশাক কিনতে আসা শহরের নিমনগর এলাকার গৃহবধূ জুলেখা বেগম জানান, বড় মার্কেটে যেসব মানের পোশাক পাওয়া যায়, এখানে একই মানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু পার্থক্য হলো দামে কম-বেশি হয়। তাদের থেকে এখানে দাম অনেক কম দামে একই মানের পোশাক পাওয়া যায় এ বউ বাজারে। তাই সপ্তাহের শুক্রবার পরিবারের সদস্যদের পোশাক এখান থেকেই কিনি। 

তিনি আরও বলেন, দিন দিন এই বউ বাজারের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। গত তিন বছর থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় পোশাক বউ বাজার থেকেই কিনছি। এখানে দরিদ্র পরিবারের পাশাপাশি উচ্চবিত্ত পরিবারের নারীরাও পোশাক কিনতে আসেন।

বউ বাজারের দোকানি মেহেদুল ইসলাম জানান, এ বাজার প্রথম দিকে ২০ থেকে ২৫টি দোকান নিয়ে মালদহপট্টি এলাকায় শুরু হয়। বর্তমানে মালদহপট্টি, চকবাজার ও বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় প্রায় শতাধিক দোকান বসে। 

তিনি বলেন, আমাদের দোকান ভাড়া, কর্মচারী বেতন, বিদ্যুৎ বিল, ডেকোরেশন খরচ না থাকায় বড় দোকানের মতো সমমানের পোশাক কম দামে বিক্রি করতে পারছি। এখানে কম দামে ভালো মানের পোশাক পাওয়ায় ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে।

সূত্র: বাসস