ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:১১:২৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

জেনে নিন কলা খাওয়ার যত রকম উপকারিতা

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৫ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২৫ রবিবার

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। হজমের সমস্যার জন্য কলা খাওয়া ভালো বলে মনে করা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন বি৬ এবং পটাশিয়াম রয়েছে। কলা শর্করা এবং শক্তিতে ভরপুর।

ব্যায়াম করার আগে বা সকালের নাশতায় কলা খাওয়া সবচেয়ে ভালো বিকল্প। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি প্রতিদিন কতগুলি কলা খাচ্ছেন। কলাতে পটাসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যারোটিনয়েড এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো ফাইটোকেমিক্যাল আছে যা পাওয়ার হাউসের মতো কাজ করে। নিয়মিত কলা খেলে আরও যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: হজমশক্তির উন্নতির পাশাপাশি কলা হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। এতে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে। কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 'আমেরিকান সোসাইটি ফর ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন'-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি ২৭ শতাংশ কমাতে পারে। 'জার্নাল নিউট্রিয়েন্টস'-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলায় থাকা ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখতে ভূমিকা রাখে।

মাইগ্রেন: কলা যদি সঠিকভাবে খোসা ছাড়া না হয়, তাহলে টাইরামিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা মাইগ্রেন বাড়ায়। হেলথ বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি অনুসারে, আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে, মনোমাইন অক্সিডেস নামক একটি এনজাইম রয়েছে যা টাইরামিনের মতো মনোমাইনগুলিকে ভেঙে দেয়। এই এনজাইম টাইরামাইন মোকাবেলা করতে সাহায্য করে। এ কারণে আপনি যদি মাইগ্রেনে ভোগেন এবং আপনার শরীরে পর্যাপ্ত এমএও না থাকে, তাহলে টাইরামিন-সমৃদ্ধ খাবার খেলে আপনার মাথাব্যথা হতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি : পরিমিত পরিমাণে কলা আপনার স্বাস্থ্য এবং ওজন কমানোর জন্য ভালো। কলা ক্যালোরি সমৃদ্ধ বলে মনে করা হয়। এ কারণে এটি ক্ষুধা দূর করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এটি ওজন বৃদ্ধিরও একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনার দিনে কতটা কলা খাওয়া উচিত বা খাওয়া উচিত নয় তার কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই, তবে প্রতিদিন ১-২ টি কলা শরীরের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করা হয়।

কলায় দ্রবণীয় ফাইবার, ফ্রুক্টোজ, বেশি কার্বোহাইড্রেট এবং কম পরিমাণে পানি থাকে। এ কারণে কলা বেশি পরিমাণে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। আবার অনেক বেশি কলা খেলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। কলায় ট্রিপটোফ্যান নামক উপাদানের কারণে এমনটি হয়। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা শরীর প্রোটিন এবং সেরোটোনিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অণু তৈরি করতে ব্যবহার করে। কলায় থাকা ভিটামিন বি৬ মুড ঠিক করে এবং ঘুমের সমস্যা তৈরি করে।