পূজোর গন্ধ বাতাসজুড়ে : আহমেদ মুশফিকা নাজনীন
আহমেদ মুশফিকা নাজনীন
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৩:৩২ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:৩৩ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার
শেফালী ফুল
কাল রাতে দেখি চাঁদ ঠিক জানালার সামনে। যেন হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়। ভালো করে তাকিয়ে দেখি হালকা কুয়াশা চারদিকজুড়ে! অবাক হই! নগরে শীতের কুয়াশা! খুশি হলাম। তবে আরেক মন বললো, এসব গাড়ির ধোঁয়া। ধোঁয়া সরিয়ে কুয়াশাকে কেন জানি বড় আপন ভাবতে চাইলাম। শহরজুড়ে নামুক ঘন কুয়াশা। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলুক গাড়ি!
আহারে আমার ষড়ঋতু! কোন অভিমানে কোথায় হারিয়ে গেল! হেমন্ত বর্ষা, বসন্ত শীত সব যেন পড়ার বইয়ের পাতায়। জাতীয় টেস্ক বুক বোর্ডের উত্তম দা’রা ছবি দিয়ে শিশুদের বুঝাতে চাইবেন একসময় এসব ঋতু ছিলো আমাদের দেশে! রোদ আসে মিষ্টি রোদ যায়। সর্ষের তেল মেখে শিশুরা রোদ ধরার খেলা খেলে না। বালিশ লেপ রোদে দেয় না অার কেউ! আচারগুলো শপিং মলে।
আজকাল সালমার সাথে আর শিউলি ফুল কুড়ানো হয়না। সমরেশ মজুমদারের সাতকাহনেই শুধু থাকে শিউলিতলার গল্প। খালি পায়ে হেমেন্দ্র দা আর সেই মাসীদের সাথে দেবী বির্সজনে ব্রক্ষ্মপুত্রের নদে যাওয়া আজ শুধুই স্মৃতি।
আহারে শৈশব! মার্বেল, ম্যাচের বক্স, তাস, ডাকটিকেট, ৫ গুটি, ক্যারাম, বিদ্যাপাতা, লজ্জাবতি ফুল প্রজাপতির পাখা শুধুই পেছনে ডাকে! এর মাঝে মাঝে শহুরে বাতাসে কোথা থেকে যেন ভেসে আসে উলু আর ঢাকের সাথে পূজোর গন্ধ! প্রাণ ভরে জোরে শ্বাস নেই। রবি ঠাকুরের পূজোর গন্ধ আসে যে তাই মায়ের গন্ধ হয়ে!
