ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৪:৪২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

আমার কাজ ইউটিউবে দেখানোর জন্য নয়: শাবনূর

বিনোদন প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:০৫ এএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ সময় পর ‘রঙ্গনা’ দিয়ে পর্দায় ফিরছেন বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। এতে তার ভক্তরা বেশ উচ্ছ্বসিত। তবে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই নিজের নতুন সিনেমার কিছু ফুটেজ ইউটিউব ও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় প্রযোজনা সংস্থার ওপর তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন শাবনূর।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন অভিনেত্রী।

শাবনূরের ওই পোস্টে তিনি চলচ্চিত্র জগতে পেশাদারিত্বের অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এখনকার সময়ের চলচ্চিত্র জগতে মানসম্মত সিনেমা নির্মাণ কঠিন হয়ে পড়েছে এবং শিল্পীরা তাদের প্রাপ্য সম্মান হারাচ্ছেন।

শাবনূর লেখেন- আমি বড়পর্দার অভিনেত্রী। আমার কাজ ইউটিউবে বিনামূল্যে দেখানোর জন্য নয়। যদি আমি আগে জানতাম এই প্রজেক্টটি সিনেমা হলের বদলে ইউটিউব কনটেন্ট হিসেবে প্রকাশিত হবে, তবে আমি কখনই এতে অংশ নিতাম না।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘রঙ্গনা’ সিনেমার মহরত অনুষ্ঠিত হয় এবং ভক্তদের উচ্ছ্বাসে শাবনূরও আশাবাদী ছিলেন। মহরতের পর কিছু অংশের শুটিংও করেন। তবে নানা জটিলতায় কাজটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। শাবনূর জানান, প্রযোজকের সঙ্গে কথা ছিল তিনি দেশে ফিরে ডিসেম্বরে বাকি অংশের শুটিং শেষ করবেন।

কিন্তু তার আগেই অনুমতি ছাড়া ফুটেজ প্রকাশ করায় তিনি হতবাক। পোস্টে লেখেন- আমি কখনই বলিনি যে ‘রঙ্গনা’ ছবিতে আর কাজ করব না। তাহলে কেন আমার অনুমতি ছাড়াই ছবির অসম্পূর্ণ ক্লিপগুলো ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রকাশ করা হলো? এখন আবার বলা হচ্ছে, পুরোনো সব দৃশ্য বাদ দিয়ে নতুন করে শুটিং হবে, যা একদমই গ্রহণযোগ্য নয়।

এছাড়া শুরু থেকেই প্রযোজনা সংস্থার অপেশাদার আচরণের কথা উল্লেখ করেন শাবনূর। তিনি জানান, কাজ শুরুর আগেই একটি নিম্নমানের পোস্টার প্রকাশ করা হয়, যা ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল। এছাড়া শুটিং ইউনিটে অব্যবস্থাপনা এবং বিদেশে শুটিং ও সম্পাদনার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগও তোলেন তিনি।

এতে নিজের দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ও পেশাগত মর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে শাবনূর বলেন, এটি শুধু আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, পুরো বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্যও এক দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক ঘটনা।