কেমন হবে পূজার সাজ
ফিচার ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০২:১৭ এএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৩:১৬ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
মডেল : উম্মে সালমা ঊষা
শুরু হয়ে গেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। ষষ্ঠী, সপ্তমী শেষে আজ অষ্টমী। দশমী পর্যন্ত পালিত হবে এই পূজা। মণ্ডপে মণ্ডপে পূজো-অর্চনা আর দেবী দর্শন করেই চলছে পূজার কার্যক্রম।
এই আনন্দের দিনে বিশেষ করে অষ্টমী থেকে দশমীর দিন পর্যন্ত সাজ পোশাকের দিকে একটু বিশেষ নজর রাখতেই হয়। পূজার সাজে নিজেকে আলাদা করতে কয়েক দিন আগে থেকেই নিতে হয় প্রস্তুতি। তবেই উৎসবের দিনগুলোতে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়! আর সেই বিশেষ লুক নিয়েই এবারের পূজার আয়োজন।
অষ্টমীর সাজ
অষ্টমীর সকালটা শুরু হয় অঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে। পাড়ার মণ্ডপে কিংবা মন্দিরে গিয়ে এদিন দেবীকে পুষ্পার্ঘ্য দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বাচ্চাদের আগ্রহটাই বেশি দেখা যায়। বাচ্চাদের জন্য একটু রঙিন ধাচের জামা হলেই এদিনের সাজে তাদের অন্য লুক দেওয়া যায়। এদিন বাঙালি বিবাহিত নারীরা কপালে মোটা করে সিঁদুর পরেন। চোখে কাজল টানেন। অষ্টমীর রাতে প্রায় সবাই-ই ভারি সাজে সাজতে পছন্দ করেন। শাড়ি-গয়না-মেকআপ, সবক্ষেত্রেই থাকা চাই গর্জিয়াস লুক।
নবমীর সাজ
নবমীতে হয় সান্ধ্য পূজা। তাই সবাই সন্ধ্যার পরই মন্দিরে যান। আর সন্ধ্যার পর বলেই এদিন অনেকটা পার্টি সাজে সাজেন সবাই। ভারি গয়না, রং-বৈচিত্র্যপূর্ণ পোশাক, ভারী মেকআপ, চুলের সাজ, তাজা ফুল এদিনের সাজের অনুষঙ্গ।
দশমীর সাজ
শারদীয়া পূজার প্রধানতম আকর্ষণ দশমী। দশমীর সাজ মানে লাল পেড়ে সাদা শাড়ি, হলুদ পেড়ে লাল শাড়ি কিংবা একদম লাল রঙা শাড়ি। প্রায় সব বয়সী নারীদের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। অনেকে আবার প্রতীমার মতোও সাজতে পছন্দ করেন। চোখে কাজলের টানা লাইনার, লাল লিপস্টিক, স্নিগ্ধ মেকআপ আর সিঁদুর। এদিন ঠাকুরকে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিজেরাও মেতে উঠেন সিঁদুর খেলায়।
সাজের ক্ষেত্রে মেয়েদের সাথে সাথে ছেলেরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। পূজার শুরুর দিন গুলোতে তারা হালকা রং এর পাঞ্জাবী ও পায়ে আরামদায়ক ফিতে যুক্ত স্যান্ডেল পরতে পারেন। আর শেষ দিন গুলোতে জমকালো পাঞ্জাবী, ফতুয়া পছন্দ করতে পারেন। যারা একটু অন্যভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান তারা ধুতি পরতে পারেন।
ছেলেরা চুলে জেল ব্যবহার করে এ দিন ভিন্ন লুক আনতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন স্টাইলের আংটি ও ব্রেসলেট পাওয়া যায়, পরতে চাইলে হাতের জন্য পছন্দমতো ও মানানসই বেছে নিতে পারেন।
তবে সাজ যেন উগ্র ও দৃষ্টিকটু না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন। ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই এমন পোশাকেই প্রাধান্য দিবেন। মনে রাখবেন, সাজসজ্জা ব্যক্তিকে কখনই বড় করে না, বরং ব্যক্তিই সাজসজ্জাকে ছাপিয়ে অনন্য সাধারণ হয়ে ওঠে।