লাল শাকের নানা গুণাগুণ
লাইফস্টাইল ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ১১:৪৪ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০১৮ শনিবার
বছরে বারো মাসই আমাদের দেশে নানা রকম শাক-সবজি পাওয়া যায়। শহর বা গ্রামে আমরা বাড়ির আশে-পাশে বা আঙ্গিনায় শাক লাগিয়ে থাকি। শাক উপকারি খাদ্য। নানা রকম গুণ রয়েছে শাকে। এখানে বেশ কয়েক রকম শাকের গুণাগুণ বর্ণনা করা হলো।
লালশাক : লালশাক অত্যান্ত সহজলভ্য সস্তা শাক। ইচ্ছা করলে ছাদে বা অল্প জায়গায় লালশাকের বীজ বুনে এক মাসের মধ্যে খাওয়া যায়। টবে লাগিয়ে খাওয়া চলে। লালশাক রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। যাদের রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া আছে তারা নিয়মিত লালশাক খেলে রক্তস্বল্পতা পূরণ হয়। এতে লবণ বা ক্ষারের গুণ রয়েছে।
সর্ষেশাক : সর্ষে শাকে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও স্নেহ জাতীয় ভিটামিন রয়েছে। এই শাক রক্তে উপকারি এইচডিএল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। দেহে ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে।
পালংশাক : পালংশাককে শাকের রাজা বলা হয় শুদু এর পুষ্টিগুণের জন্য। পালংশাকের প্রদান ক্রিয়া হলো গলব্লাডার ও কিডনির ওপর। পালংশাক খেলে জন্ডিস ভালো হয়। রক্ত বৃদ্ধি করে। রক্ত বিশুদ্ধ করে, হাড মজবুত করে। অন্ত্র সচল রাখে। ডায়াবেটিস ভালো কলে। কিডনির পাথর বের করে দেয়। এতে ভিটামিন এ বি ও ই রয়েছে। আরো আছে এসিনো অ্যাসিড।
মুলাশাক : মুলার মতো মুলাশাকও উপকারী। মুলাশাক শরীরের মল ও মূত্র বের করে দেয়। মুলাশাক অর্শ রোগ সারে। মুলার চেয়ে মুলাশাক বেশি উপকারি বলে পুষ্টিবিদরা বলেন। এই শাক দেহের জ্বালাপোড়া কমায়। কফ ও বাত নাশ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
পুঁইশাক : মাছের রাজা রুই আর শাকের রাজা পুঁই বলে গ্রামে ছড়া কাটে। পুঁইশাক শরীর ঠান্ডা রাখে যদিও গরম। পুঁইশাকের ডগায় বেশি ভিটামিন থাকে। বল, পুষ্টি ও বীর্য বর্ধক। সুনিদ্রা আনে, বাত পিত্তনাশক।
কচুশাক : কচুশাক শহরে, নগরে ও গ্রামে সর্বত্র পাওয়া যায়। দামে সস্তা অথচ অত্যন্ত উপকারী। কচুশাক চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। মায়ের বুকে দুধ বৃদ্ধি করে। রক্তপিত্ত রোগ সারে। প্রসাবের জ্বালাযন্ত্রণা দূর করে। ক্ষুধা বাড়ায়।