ঢাকা, শুক্রবার ০৩, মে ২০২৪ ১৬:০৮:৪৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বায়োস্কোপের নেশা ওলিয়ারকে ছাড়ে না

বাসস

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৫৪ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৯ রবিবার

ছবি : বাসস

ছবি : বাসস

এক সময়কার গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিনোদন ছিল বায়োস্কোপ দেখা। এখন আর আগের মত চোখে পড়ে না। বাইস্কোপ দেখিয়ে শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষদের আনন্দ দেওয়ার মাধ্যমে নিজের সংসার চালাচ্ছেন ওলিয়ার রহমান বিশ্বাস। বাড়ি ঝিনাইদহর শৈলকুপা উপজেলার বড়বাড়িবগুড়া গ্রামে।

সম্প্রতি নড়াইল-যশোরের সীমান্তবর্তী বাঁকড়ী গ্রামে তে-ভাগা আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ‘কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে দু’দিনব্যাপি অমল সেন স্মরণ মেলায় কথা হয় বায়োস্কোপ চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ কারি ওলিয়ার রহমান বিশ্বাসের সাথে।

জানা গেছে, ঝিনাইদহর শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের ওলিয়ার রহমান বয়স (৫২) বছর। সংসারে রয়েছে স্ত্রীসহ ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ বাইস্কোপ দেখিয়ে সংসার চালিয়ে জীবন-যাপন করছেন। এর পর প্রায় ১০ বছর বাইস্কোপ দেখানো বন্ধ থাকলেও ফিরে এসেছেন নতুন করে। আগে বিভিন্ন হাট-বাজারে দর্শকদের বাইস্কোপ দেখিয়ে ৪০ থেকে ৬০ টা পর্যন্তু আয় হতো। বর্তমানে দিনের খরচ বাদে ৩ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্তু আয় করেন ওলিয়ার।

ওলিয়ার রহমান জানান, আগে ৫০ পয়সায় জন প্রতি বাইস্কোপ দেখালেও ধীরে ধীরে এখন ১০ টাকায় উত্তীর্ণ হয়েছে। নতুন করে বাইস্কোপের বাক্সটি তৈরি করতে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। সাথে রয়েছে বিভিন্ন ছবিসহ অন্যান সরঞ্জমাদি।

বাইস্কোপ দেখে পলাশ কর্মকার বিশ্বাস বলেন, আমি আগে কখনও বাইস্কোপ দেখিনি এবারই প্রথম দেখলাম।

জয় দাস বলেন, আমাদের বাবা-ঠাকুরদার কাছে বাইস্কোপের গল্প শুনেছি আজ দেখলাম সত্যিই অনেক ভাল লাগছে।

কৃষ্ণারানী বিশ্বাস বলেন, বাইস্কোপ প্রথমবার দেখলাম এর মধ্যেও অনেক কিছু শেখার আছে।

নড়াইল জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম-সম্পাদক শামীমুল ইসলাম টুলু বলেন, বায়োস্কোপ আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যবহন করে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গ্রামীণ সাংস্কৃতিরে সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব তাই এ ঐতিহ্যবাহী বিনোদন ধরে রাখা উচিত।