শিশুর প্রথম খাবার কেমন হবে
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার
ফাইল ছবি
জন্মের পর থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর খাবার নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা ওই সময় পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধই হয় শিশুর একমাত্র খাবার। চিন্তাটা শুরু হয় ৬ মাস বয়স পেড়োনোর পর থেকে। তখন শিশুকে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি দিতে হয় বাড়তি খাবার। আর এই বাড়তি খাবারটা কি হবে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যান মায়েরা। অন্যদিকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খেয়ে অভ্যস্ত শিশুরা হঠাৎ করে বাইরের খাবার খেতেও চায় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৬ মাস বয়সের পর শিশুর জিহ্বাতে ‘টেস্ট বাড’ তৈরি হয়। এটা হলো বিশেষ এক ধরণের মাংসপেশি, যার মাধ্যমে শিশুরা বিভিন্ন খাবারের স্বাদ অনুভব করতে পারে।
এজন্য ৬ মাস বয়সি শিশুর খাবার নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সহজে হজম করতে পারবে এমন খাবার শিশুকে দিতে হবে। পাশাপাশি শিশুর মুখের স্বাদের বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে।
ছয় মাস পর থেকে শিশু মায়ের বুকের দুধ তো খাবেই সঙ্গে দিতে হবে শর্করা জাতীয় খাবার। যেমন, নরম ভাত, আলু সেদ্ধ প্রভৃতি। সাথে বিভিন্ন ফল যেমন, গাজর, আপেল, আঙুর সেদ্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। খাওয়ানো যেতে পারে পাকা কলা, পাকা পেঁপে, সেদ্ধ মিষ্টি কুমড়া। তবে শিশু যদি হজম করতে পারে তাহলেই এই খাবারগুলো খাওয়ানো যেতে পারে। হজম না হলে এসব খাবার দেওয়ার দরকার নেই।
৬ মাস বয়সের পর শিশুকে বাড়তি খাবার হিসেবে সবজি খিচুড়ি খাওয়ানোটা জরুরি। সবজি খিচুড়ি শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শিশুর হজমে সমস্যা না হলে, সবজি খিচুড়িতে বিভিন্ন রকম সবজি ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি সামান্য সয়াবিন তেল, মুরগির ছোট্ট এক টুকরা মাংস অথবা কলিজা খিচুড়িতে মিশিয়ে দিলে স্বাদ ও পুষ্টি দুটোই বাড়বে।
এই বয়সি শিশুকে খাওয়ানো যেতে পারে সামান্য মধু ও ডিমের কুসুম। তবে গরমে মধু না দেওয়াটাই ভালো। আর দিলেও মাসে দুই দিন আধা চা চামচ করে দুধ দিতে হবে। শিশুকে ডিমের কুসুম খাওয়াতে হবে ধীরে ধীরে।
শিশুকে বাইরের খাবারের পরিবর্তে ঘরে তৈরি খাবার বেশি খাওয়ানোই ভালো। হজম করতে পারলে শিশুকে দুধ-সুজি খাওয়ানো যেতে পারে। পাশাপাশি যদি শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তাহলে সবজি খিচুরিতে শাকের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। সাথে পানিও খাওয়াতে হবে বেশি করে। আর যেসব শিশুরা মায়ের বুকের দুধ খায়, তাদের মায়েদেরও বেশি করে শাকসবজি ও পানি খেতে হবে।
তবে মনে রাখতে হবে কোন খাবারই শিশুকে জোর করে খাওয়ানো যাবে না। এক এক শিশুর মুখের রুচি এক এক রকমের হয়ে থাকে। আবার হজম ক্ষমতাতেও দেখা যায় ভিন্নতা। কাজেই শিশুর খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে রুচি ও হজমের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
সূত্র : ইন্টানেট