ঢাকা, রবিবার ২৮, এপ্রিল ২০২৪ ০:২৭:২৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

উৎসবের রঙিন সাজে সেজেছে দেশী দশ

শারমিন সুলতানা

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:৩৩ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

বসুন্ধরা শপিংমলে দেশী দশ, ছবি : উইমেননিউজ২৪.কম

বসুন্ধরা শপিংমলে দেশী দশ, ছবি : উইমেননিউজ২৪.কম

উৎসবের রঙিন সাজে সেজেছে দেশী দশ। এ মাসের তিনটি উৎসব ও একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে রঙিন হয়ে উঠেছে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমলের সপ্তমতলা। ক্রেতার কলতানে মুখরিত দেশী দশের প্রতিটি শোরুম। বিশেষ করে দেশীয় উৎসবগুলোকে কেন্দ্র করে দেশীয় স্টাইলের পোশাক কিনতে ব্যস্ত নারী ক্রেতারা। কেউ কিনছেন, আবার কেউবা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। কেউ করছেন পোশাক পছন্দ।  

দেশাল, অঞ্জন’স, বিবিয়ানা, বাংলার মেলা, নিপুন, সাদাকালো নগরদোলা, রঙ বাংলাদেশ, ক্রে ক্রাফট ও সৃষ্টি-এই দশটি ব্রান্ড একসাথে দেশী দশ। 

সরস্বতী পূজা, পহেলা ফাল্গুন, ভ্যালেন্টাইনস ডে আর একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে দেশী দশের প্রতিটি ব্রান্ডের পোশাকেই আনা হয়েছে নতুনত্ব। পাশাপাশি পুরনো পোশাকে দেওয়া হচ্ছে ৫০% পর্যন্ত ছাড়।

সৌমিক দাসের রঙ বাংলাদেশ পহেলা ফাল্গুন, ভ্যালন্টাইনস ডে আর একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে পোশাকে এনেছে বৈচিত্র্য। ফাল্গুন মানেই যেন হলুদ রঙের ছোঁয়া। তাই হলুদকে প্রাধান্য দিয়েই ফাল্গুনের শাড়ি, সালোয়ার কামিজ ও শিশুদের পোশাকের নকশা করেছে রঙ বাংলাদেশ। পাশাপাশি রাখা হয়েছে ছেলেদের পাঞ্জাবী। ভ্যালেন্টাইস ডের জন্য লাল রঙটাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারির পোশাকে আছে সাদা কালোর মিশেল।

দেশাল বরাবরই দেশীয় উৎসবকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাই ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে দেশালে কোন পোশাক রাখা হয়নি। পোশাক তোলা হয়েছে সরস্বতী পূজা, পহেলা ফাল্গুন আর একুশে ফেব্রুয়ারিকে মাথায় রেখে। এমনটাই বলছিলেন দেশালের বসুন্ধরা শাখার ম্যানেজার রেহানা আক্তার। 

বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর তুলনায় শুক্র ও শনিবার বিক্রি বেশি হয়। আর এখন সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ফাল্গুনের পোশাক।

বুটিক হাউজ সাদাকালোতে এবার সাদা কালোর পাশাপাশি ফাল্গুন উপলক্ষে রাখা হয়েছে রঙিন পোশাকও। সাদাকালোর বসুন্ধরা শাখার বিক্রয় প্রতিনিধি মাসুমা আক্তার জানালেন, অল্প কিছু রঙিন পোশাক আসলেও মূলত একুশে ফেব্রুয়ারিকে মাথায় রেখেই পোশাকের ডিজাইন করা হয়েছে। সাদাকালোতে পাওয়া যাচ্ছে কটন, হাফসিল্কের উপরে ব্লক ও এম্রয়ডারি করা শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ওয়ান পিস, ছেলেদের পাঞ্জাবী। 

উৎসবের রঙে এবার সবচেয়ে বেশি সেজেছে যেন অঞ্জন’স। পোশাকের রঙে বৈচিত্র আনার পাশাপাশি প্রায় সব বয়সীদের জন্য উৎসবের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে এখানে। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ওয়ান পিস, ছেলেদের পাঞ্জাবি, শিশুদের ফ্রক, স্কার্ট, টপস মিলবে অঞ্জন’সে। 

অঞ্জন’স-এর বিক্রয় প্রতিনিধি শাহিনা আক্তার জানালেন, তারা ফেব্রুয়ারির চারটি উৎসবকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। তবে ফাল্গুনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি পোশাকের রঙের সাথে মিলিয়ে অঞ্জন’স-এ মেয়েদের অলংকারেও আনা হয়েছে নতুনত্ব।  

এই ব্রান্ডগুলোর পাশাপাশি লাল, হলুদ আর সাদা কালো পোশাকের সম্ভারে সেজে উঠেছে নিপুন, নগরদোলা, বিবিয়ানা, বাংলার মেলা, সৃষ্টি ও ক্রে ক্রাফট। 

এছাড়া ক্রেতাদের জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, দেশী দশে ঢুকলে একই ছাদের নিচে একইসাথে পেয়ে যাবে দেশীয় নামকরা দশটি ব্রান্ডের শো রুম। ফলে ক্লান্ত না হয়েই কেনাকাটা করে নিতে পারবেন নির্বিঘ্নেই।

ধানমন্ডি থেকে কেনাকাটা করতে আসা শিফা ইসমত বলেন, পহেলা ফালগুণের জন্য শাড়ি কিনতে এসেছি। আসলে রাজধানীর জ্যাম ঠেলে অন্য কোথাও যাওয়ার চেয়ে এখানেই আমি আসি কেনাকাটা করতে। এক ছাদের নিচে দশটি দোকান। আছে নানা রকম শাড়ি। পছন্দ করে কিনে ফেলি একটা। আর আমার বাসা থেকেও বসুন্ধরা বেশ কাছে।