ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৯, মে ২০২৪ ৫:০৫:২১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন রবীন্দ্রনাথ মানুষের পরিশুদ্ধতার কথা ভাবতেন: সিমিন হোসেন মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে: প্রধানমন্ত্রী আজ পঁচিশে বৈশাখ, কবিগুরুর জন্মদিন যৌন হয়রানি: ঢাবি অধ্যাপক নাদিরকে অব্যাহতি হজ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আবার পরিবর্তন হলো খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের তারিখ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৪৪ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার

পুরোনো ছবি

পুরোনো ছবি

বির্তক এড়াতে বিএনপি এবার জাতীয় শোক দিবসের দিন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৭৫ তম জন্মদিন পালন করেনি। তাই জন্মদিনের কর্মসূচি একদিন পিছিয়ে ১৬ আগস্ট পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এমনকি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকেও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালনে অনুৎসাহিত করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার বাবা এস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী হলেও তিনি দিনাজপুরে বসবাস করতেন। খালেদা জিয়ার জন্ম সেখানেই। তার মায়ের নাম তৈয়বা মজুমদার। ১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, বাংলা পিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর ওপর রচিত কয়েকটি বইয়েও তার জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট উল্লেখ আছে।

দলের নেতারা বলছেন, ১৫ আগস্ট নিয়ে নমনীয় হচ্ছে বিএনপি। এ কারণে বুধবার লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা আসে ১৫ আগস্ট কর্মসূচি পালন না করে ১৬ আগস্ট করতে। সেই নির্দেশনাটি দলের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ১৫ আগস্টের পরির্বতে ১৬ আগস্ট সারাদেশে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া হবে।

খালেদা জিয়ার জন্মদিনের একদিন পরে কেন কর্মসূচি দেয়া হলো, জানতে চাইলে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, মিথ্যা মামলায় সাজা হয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেলে। এর প্রতিবাদে তার জন্মদিনের কর্মসূচি একদিন পরে পালন করার সিদ্ধান্ত  নেয়া হয়েছে। বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৫ অগাস্ট ৫০ পাউন্ডের কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন খালেদা জিয়া। ২০১৫ সালের ১৫ অগাস্ট প্রথম প্রহরে কেক না কাটলেও সন্ধ্যার পরে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন। তবে ২০১৬ সালে বন্যা, গুম-খুনের কারণে দেখিয়ে কেক কাটার কর্মসূচি বাতিল করা হয়। ২০১৭ সালে জন্মদিনে লন্ডনে ছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্নীতির মামলা সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন তিনি। এরমধ্যে ৭৪তম জন্মদিনে দিনে তিনি ছিলেন নাজিম উদ্দিন রোড়ের কেন্দ্রীয় কারাগারে। আর এবার কারাবন্দি অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আছেন খালেদা জিয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, ২০১৬ সালে খালেদা জিয়া উপস্থিতিতে দলের স্থায়ী কমিটির এক মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীর দিন জন্মদিনের বির্তক এড়াতে তিনি কেক কাটবেন না। এরপর তিনি নিজেই বিভিন্ন সময় বক্তব্যে বলেছেন, জাতীয় নেতাদের নিয়ে বিতর্ক বন্ধ করতে হবে।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে এক সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং জিয়াউর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে বলেছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট ৭১তম জন্মদিনে কেক না কেটে সকালে জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও মিলাদ মাহফিল করা হয়। এবার ১৫ আগস্ট মাজার জিয়ারত ও মিলাদ মাহফিল থেকেও সরে এসেছে বিএনপি। কারণ হিসেবে দলটির নেতারা বলছেন, শোক দিবস নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিএনপি। এ কারণে তারেক রহমান শোক দিবসে বির্তক সৃষ্টি না করে একদিন পরে মায়ের জন্মদিনের কর্মসূচির পালন করার নির্দেশ দেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়ার ৭০তম জন্মদিন থেকেই সিদ্ধান্ত হয় আগামীতে তার জন্মদিনে কেক কাটা হবে না। কেক কাটার পরিবর্তে মিলাদ মাহফিল ও জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করার সিদ্ধান্ত হয়।’