ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ৯:২৮:৪৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

করোনা মোকাবিলায় জাতিসংঘের নেতৃত্বের প্রশংসা করল ঢাকা

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ৭ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। ফাইল ছবি।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। ফাইল ছবি।

কোভিড-১৯ মোকাবিলার বৈশ্বিক প্রচেষ্টাগুলো এগিয়ে নিতে বিশেষ করে সংঘাতপূর্ণ এলাকার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ।

সোমবার নিউইয়র্ক-এ এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ, ইকুয়েডর, মিশর, জ্যামাইকা, জাপান, মালয়েশিয়া, ওমান, সেনেগাল, স্লোভেনিয়া ও সুইডেনসহ মোট দশটি দেশ যৌথভাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে একটি বিবৃতিটি হস্তান্তর করে।

এ সময় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘বিশ্বের সব সংঘাতপূর্ণ এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধ থামাতে এ যৌথ বিবৃতি নিশ্চয়ই আপনার হাতকে আরও শক্তিশালী করব।’

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ যে অবদান রেখে যাচ্ছে এ সময় তাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

দশ দেশের সহ-উদ্যোগে প্রণীত এ যৌথ বিবৃতিটি গত ২২ জুন প্রকাশ করা হয়। এটি জাতিসংঘের ১৭২টি সদস্য দেশ ও পর্যবেক্ষক সদস্যগুলো সমর্থন করে। মহাসচিবের আবেদনে এ পর্যন্ত এটিই ছিল সদস্য দেশগুলোর সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সমর্থন।

কোভিড-১৯ এর সময়ে যুদ্ধ ও বৈরিতার প্রভাবে বিপর্যস্থ মানবতার জন্য এ বিবৃতিটি বৈশ্বিক সংহতি ও মমত্ববোধের এক শক্তিশালী ও স্পষ্ট বার্তা বহন করে এনেছে।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘সংঘাতপূর্ণ অনেক পরিস্থিতিতে শান্তি আনতে আপনার আবেদন সফলকাম হয়েছে, যদিও এখনও অনেকেই এতে এগিয়ে আসেনি এবং কেউ কেউ এর সঠিক প্রয়োগ করছে না।’

জাতিসংঘ মহাসচিব তার প্রতিক্রিয়ায় যৌথ বিবৃতিটিকে ‘তার আবেদনের সপক্ষে সেরা ও গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এজন্য সকল সহ-উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

মহাসচিব তার যুদ্ধবিরতির আবেদনের প্রেক্ষিতে কিছু সফল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব তুলে ধরার পাশাপাশি আরও অনেক কিছু করা বাকি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, এটির বাস্তবায়নই মূল বিষয়। তিনি বৈশ্বিক সংহতি অব্যাহত রাখার উপর জোর দেন এবং এই সংহতি অন্যান্য ক্ষেত্রেও বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান। বিবৃতিটির সহ-উদোক্তাগণ মহাসচিবের সাথে একমত পোষণ করেন।

কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরতির পক্ষে রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ে এ আবেদনটি ছিল মহাসচিবের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা। গত ২৩ মার্চ মহাসচিবের এই আবেদন প্রকাশের পরপরই যে সকল দেশ এতে সমর্থন জানিয়েছিল বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম।