ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ১০:১৮:০৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

কৃষকদের ক্ষতি করে উন্নয়ন ও শিল্পায়ন নয়: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৫৭ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কৃষকদের ক্ষতি করে দেশের উন্নয়ন ও শিল্পায়ন নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কৃষকের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি আমরা উন্নত হবো, শিল্পায়ন করবো, তবে তা কৃষকদের বাদ দিয়ে নয়, কৃষিকে বাদ দিয়ে নয়। কাজেই আমাদের উন্নয়নে কৃষকদের সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

বুধবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক লীগের সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ। কৃষকরাই বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখে। কৃষক ফসল ফলায়, আমরা খেয়ে বেঁচে থাকি। একটি সমাজ ও দেশের জন্য কৃষক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগে কৃষক ফসল ফলাতো, কিন্তু তার পেটে খাবার ছিল না। তাদের পরনের কাপড় ছিল না। কৃষকের অধিকার সংরক্ষণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কৃষক যেন তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে ই-কৃষি চালু হয়েছে। কৃষকরা যেকোনও সমস্যার সমাধানে ‘১৬১২৩’ নম্বরে কল করে জানতে পারে। আমাদের কৃষকরাও এখন যথেষ্ট পরিপক্ব। মোট কথা কৃষকদের যত ধরনের সুবিধা দেওয়ার কথা, আমরা তা দিচ্ছি।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশকে কীভাবে উন্নত সমৃদ্ধশীল করে গড়ে তুলবো। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে জাতীয় কৃষিনীতি-২০১৮ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কৃষি খাতে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। আগে কৃষকদের ভর্তুকি দিতে গেলে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মানা করতো। আওয়ামী লীগ সরকার তা সচল রেখেছে। আজ আমরা ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি। গত ১১ বছরে আমরা কৃষি খাতে ৬৫ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছি।

তিনি বলেন, কোনও জমি আর অনাবাদি থাকবে না। আনাচে-কানাচে, ঘরের পাশে, এমনকি ছাদেও যেন কিছু চাষ হয়, ফসল উৎপাদন হয়। যেসব কৃষকদের নিজেদের বাড়ি আছে, ভিটা আছে বা ভিটার পাশে জমি আছে সেখানেও তারা যেন উৎপাদন করতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়েই “আমার বাড়ি, আমার খামার” প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

কৃষিখাতে গবেষণার গুরুত্ব দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, গবেষণা ছাড়া কৃষি উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা গবেষণার মাধ্যমে উন্নতমানের বীজ উৎপাদন করছি। বর্তমানে দেশেই গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সবজি ১২ মাসই উৎপাদন করা যাচ্ছে। আমরা কৃষি উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্য উৎপাদনে সারাবিশ্বে আমরা চতুর্থ অবস্থানে আছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও আর গৃহহারা থাকবে না। তাদের প্রত্যেকের যেন মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়, আমরা সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সম্মেলন পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অল ইন্ডিয়া কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অতুল কুমার অঞ্জনসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সম্মেলন মঞ্চ থেকে স্লোগান দিয়ে তাকে অভিবাদন জানানো হয়।

দেশে কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থরক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯শে এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয় সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৯শে জুলাই। তিন বছর কমিটির মেয়াদ থাকলেও চলেছে প্রায় আট বছর। শুধু কেন্দ্রীয় কমিটি নয়, জেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোও বিভিন্ন কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় জাতীয় সম্মেলন ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে কৃষক লীগে।

-জেডসি