ঢাকা, মঙ্গলবার ১৯, মার্চ ২০২৪ ৯:৩৩:৩৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু তিনদিনের সফরে সুইডেনের রাজকন্যা ঢাকায় অবন্তিকার আত্মহত্যা, তদন্ত কমিটির প্রথম সভা আজ গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু শিশু শিক্ষার বিকাশে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন বঙ্গবন্ধু ধানমন্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

জেব্রা ক্রসিংয়ের বাইরে মৃত্যু হলে কেউ দায় নেবে না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২২ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জেব্রা ক্রসিংয়ের বাইরে কারো মৃত্যু হলে কেউ দায় নেবে না। সে দায়িত্ব যে রাস্তা পার হবে তার। দরকার হলে প্রতিটি স্কুলে একজন শিক্ষককেই দায়িত্ব দিতে হবে ছুটি হলে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পার করে দিবে। শুধু চালককে দোষ দিলে হবে না, পথচারীকেও সচেতন হতে হবে। যত্রতত্র রাস্তা পার হওয়া যাবে না।

‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে বনানীতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব বলেন তিনি।

সেসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক শুধু তৈরিই করিনি, সেই সড়ক নিরাপদ করারও চেষ্টা করেছি। কোথায় কোথায় সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে, কেন বেশি হচ্ছে সেসব নজর রেখেছি। মহাসড়কের যেখানে যেখানে দুর্ঘটনা হয়, সেই জায়গাগুলো নিরাপদ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

‘‘রাজধানী ঢাকার সাথে জেলা, উপজেলা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে সড়ক নির্মাণে নিরাপত্তার সঙ্গে প্রাকৃতিক ভারসাম্যও যাতে ঠিক থাকে- সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।’’

সড়ক নির্মাণে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার তাগিদ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, দেশে প্রচুর পরিমাণে সড়ক, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব নির্মাণে যেন প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষ যাতে এসব থেকে উপকৃত হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।

অনুষ্ঠানে সড়কের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বলেন, রাজধানীর সঙ্গে দেশের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা করেছে সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নয়নে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কের বাঁক কমানো হয়েছে। সড়কের যেসব স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে সেইসব স্থান চিহ্নিত করে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা যোগ করেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকার করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হয়ে গেছে। ফলে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। পরিবেশ ঠিক রাখতে কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তাহলে বর্জ্যও কম তৈরি হবে। আমিও সেটাই ব্যবহার করছি।’

এদিকে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

দিবসটি উপলক্ষে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, আলোচনাসভা, শোভাযাত্রা ও সড়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রম। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কদ্বীপ সজ্জিত করে সচেতনতামূলক প্ল্যাকার্ড টাঙানো হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে এবার গণশোভাযাত্রার পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শোভাযাত্রা করা হবে। এ ছাড়া জুম বৈঠকে নিরাপদ সড়ক বিষয়ে হবে আলোচনাসভা।

এই আলোচনা সভা বড় পর্দায় গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে লাইভ প্রদর্শন করা হচ্ছে। বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। যাত্রী ও পথচারীদের সচেতনতা বাড়াতে বাস টার্মিনালসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে। একইভাবে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় শোভাযাত্রাসহ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

এবার চতুর্থবারের মতো পালিত হচ্ছে নিরাপদ সড়ক দিবস। ১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর বান্দরবানে স্বামী নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন। এর পর থেকে ইলিয়াস কাঞ্চন ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’ নামে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন।

নিসচার আন্দোলনের ফল স্বরুপ ২০১৭ সালের ৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ওই বছর থেকেই বাংলাদেশে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়ে আসছে।

-জেডসি