ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৫:০৪:০৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

ঢাকার দুই সিটির ভোট ভাবনায় নানা সমীকরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৩৩ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আর দুই দিন পর হতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাতে।একাদশ সংসদ নির্বাচনের একবছরের মাথায় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি হতে যাচ্ছে ঢাকার দুুই সিটির নিবাচন। লড়াইয়ের মূল প্লাটফর্মে আছে দুই প্রতীক নৌকা আর ধানের শীষ। এখন মূল প্রশ্ন হচ্ছে ‘সুষ্ঠু ভোট হবে তো?’। নাকি ফিরে আসবে তিক্ত অতীত।

জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে না পারার তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলতে না ভুলতেই নগরবাসীর দোরগোড়ায় এসেছে এই ভোট। ভোটের মাঠ সমান্তরাল আছে কি নেই, তা নিয়ে বিতর্ক লেগেই আছে। সরকারি দলের মূল প্রতিপক্ষ বিএনপির দুই প্রার্থী উত্তরে তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণে ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় একাধিকবার হামলার অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বলছেন, বিএনপির প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। তবে নির্বাচনী মাঠে বড় ধরনের সহিংস কোনো ঘটনা এখনো ঘটেনি বলেই অনেকের মত।

দক্ষিণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে নূর তাপস এবং উত্তরে আতিকুল ইসলাম অনেকটা ফুরফুরে মেজাজেই আছেন। দুই প্রার্থীই দাবি করেছেন, তাদের বিজয় সুনিশ্চিত। তাপস সংসদ সদস্যের পদ ছেড়ে এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়েরও পছন্দের প্রার্থী তাপস। সাঈদ খোকনকে বাদ দিয়ে তাপসকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। তার প্রতিদ্বন্দ্বী উচ্চ শিক্ষিত ইশরাক হোসেন। বয়সে তরুণ হলেও নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে ইশরাক ইতোমধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। তার সাহসিকতার প্রশংসা করছেন অনেকেই। দক্ষিণ সিটিতে তার বাবা মরহুম সাদেক হোসেন খোকার ভিত্তি মজবুত থাকায়, সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছেন ইশরাক।

অন্যদিকে, উত্তর সিটিতে ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক ব্যবসায়ী ও তরুণ রাজনীতিবিদ তাবিথ আউয়াল। কয়েক দিন আগে ‘দারুণ তাল তুলে’ আতিকুল ইসলামের গান গাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে করে তার ফুরফুরে মেজাজের একটি পরিচয় পাওয়া গেছে। যদিও ডেঙ্গু মোকাবেলায় তার ব্যর্থতা সাধারণ ভোটারদের মধ্যে দাগ কেটে আছে। আনিসুল হকের মৃত্যুর পর তার বাকি সময়ের জন্য আতিকুল ইসলাম মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন এক বছর। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকাকে আরো আধুনিক ও বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার। আতিকুলের প্রতিদ্বন্দ্বী তাবিথ আউয়াল ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে আনিসুল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ওই নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলেও কয়েক ঘণ্টার ভোটে তাবিথ তিন লাখের মতো ভোট পান। তাই অনেকের ধারণা ভোটের মাঠে এবার আতিকুলের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী তাবিথ আউয়াল।

ধানের শীষ ও নৌকার লড়াই জমে গেছে। এখন চলছে ভোট নিয়ে নানা সমীকরণ। কী হবে ১ ফেব্রুয়ারি। ইভিএমে হচ্ছে এবার ভোট। ইভিএম নিয়েও রয়েছে বিএনপিতে শঙ্কা।

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে- ভোটের মাঠে এ প্রচারই বেশি করছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলছেন, বিএনপির নেতারা ভোট চাওয়ার চেয়ে ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। ফলে তাদেরও জোর দিতে হচ্ছে ভোট সুষ্ঠু হবে বলে ভোটারদের কেন্দ্রে নেয়ার প্রচারে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং সরকারি দলের নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। কেউ যেন হস্তক্ষেপ না করে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও কেউ হস্তক্ষেপ করবে না।জনগণ যাকে চায় তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচনে করবে।এত কাজ করে জনগণ যদি ভোট না দেয় জোরাজুরি, জবরদস্তি করে জনসমর্থন আদায় করে ক্ষমতায় থাকার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে জয় নিশ্চিতে শেষ মুহূর্তের হিসাব মেলাতে ব্যস্ত বিএনপি। ধানের শীষের জয়ের লক্ষ্যে নানা কৌশল ও তা বাস্তবায়নে কাজ করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। তাদের মতে, ভোটে জিততে হলে অন্তত চারটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এগুলো হচ্ছে- ভোটের দিন প্রতিটি বুথে পোলিং এজেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, নেতাকর্মীদের মাঠে থাকা, ভোটারদের কেন্দ্রে আনা এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকা। এসব মোকাবেলায় ব্যর্থ হলে ফল নিজেদের ঘরে তোলা কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে ধানের শীষের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।

-জেডসি