ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ২২:১৬:৩১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

পুলিশ কর্তৃক ধর্ষিত তরুণীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:১৩ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৯ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম কর্তৃক ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে ধর্ষিত তরণীকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, ডাক বাংলোতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক তরুণী ধর্ষণের ঘটনারোধে সরকারের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানিকগঞ্জ, সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আটজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রবিবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম ও তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।

এদিন ওই তরুণী মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বর্ণনা দেন এবং দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।

এর আগে, নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, সাভারের আশুলিয়া এলাকার তার এক খালা সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দারের কাছে প্রায় ৩ লাখ টাকা পাবেন। পাওনা টাকা আদায়ে বুধবার বিকেলে ওই খালা তাকে নিয়ে সাটুরিয়া থানায় যান। এ সময় এসআই সেকেন্দার তাদের দু’জনকে নিয়ে থানা সংলগ্ন সাটুরিয়া ডাকবাংলোতে যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে থানার এএসআই মাজহারুল ইসলাম হাজির হন। তরুণী ও তার খালাকে আলাদা রুমে আটকে রাখে তারা। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা তরুণীকে ইয়াবা সেবন করিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ২ রাত ২ দিন পর শুক্রবার সকালে তরুণী ও তার খালার হাতে ৫ হাজার টাকা তুলে দিয়ে সেকেন্দার তাদের সাটুরিয়া থেকে চলে যেতে বলেন। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে তরুণীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয় বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী সাভারে ফিরে প্রথমে তার এক পরিচিত সাংবাদিকের কাছে এ ঘটনা জানান। সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে মৌখিকভাবে এ ঘটনা জানার পর মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার শনিবার রাতেই অভিযুক্ত এসআই সেকেন্দার ও মাহারুলকে থানা থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

-জেডসি