ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১২:৪৯:০৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাজারে বেড়েছে আলু পেঁয়াজ সবজি ও মাছ-মাংসের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৪২ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সরকারের পক্ষ থেকে বার বার পবিত্র রমজানে দব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলা হলেও বাস্তবে বাজারের চিত্র ভিন্ন। রাজধানীর বাজারগুলোতে ইতোমধ্যেই বেড়েছে আলু, পেঁয়াজসহ শাক-সবজি এবং মাছ-মাংসের দাম। তবে গত সপ্তাহের চেয়ে চলতি সময়ে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে ।

আজ শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, ফকিরেরপুল, কারওয়ান বাজার, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে।

দেখা গেছে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কাচাবাজারের আড়তে ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ ৫ কেজি বিক্রি করছেন ১২০-১২৫ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছিল ১০০ টাকা। ভালোমানের আলু বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা পাল্লা দরে, ৭ দিন আগে যার দাম ছিল ৬৫ টাকা। তার মানে গত সাত দিনের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা এবং আলুর দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি দুই টাকা।

এদিকে কমলাপুর ও সায়েদাবাদ এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বিক্রেতারা ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি করছেন ২৮ থেকে ৩০ টাকা দরে, আর প্রতিকেজি আলুর বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে, অর্থাৎ খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ৮- ১০ টাকা ও আলুর দাম কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, পেঁয়াজের ফলন এবার অন্য বছরের তুলনায় খুব ভালো হয়েছে। তাই বাজারে সরবরাহ ছিল বেশি। একারণে অনেকদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম কম ছিল। এখন আস্তে আস্তে পেঁয়াজ শুকিয়ে যাচ্ছে এবং সেগুলো মজুদ রাখা হচ্ছে। যে কারণে কিছুটা দাম বাড়ছে। তবে আমাদের ধারণা সামনে দিনগুলোতে দাম আরো বাড়তে পারে।

আলুর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কমলাপুর বাজারের সোলেমান শেখ বলেন, এবার আলুর ফলন ভালো হওয়ায় দীর্ঘদিন গত কয়েকমাস সস্তায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন আর আগের মতো সস্তায় আলু পাওয়া যাবে না। কারণ আলু আস্তে আস্তে আলু মজুদে চলে যাচ্ছে। আর একারণে বাজারেও সরবরাহ কমেছে, ফলে দামও বাড়ছে।

তবে বরাবরের মতো ক্রেতাদের অভিযোগ রমজানকে সামনে রেখে এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজির মাধ্যমে আলু-পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন।

এ বিষয়ে একজন ক্রেতা বলেন, এমনিতেই রোজায় আলু-পেঁয়াজের চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। আর কিছুদিন পরেই তো রোজা, তাই আগে থেকেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ব্যবসায়ীরা আলু-পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দেশে সবকিছু চলে যার যার ইচ্ছায়। যে যার মতো করে ফায়দা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। ভালোভাবে তদারকিও হয় না। প্রতিবছরই রোজার আগে বাজারে কঠোর তদারকি করা হবে, দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে এমন হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায় না। ফলে মুনাফালোভীরা কারসাজি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

রোজা সামনে রেখে আলু পেঁয়াজের দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। বাজারভেদে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১০৫ টাকা। এ বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ী সুরুজ মিয়া বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। সামনে দাম আরও কমতে পারে। কারণ রোজায় সাধারণত ডিমের চাহিদা কম থাকে।

এদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে আগের মতই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজার ও মানভেদে কাঁচা পেঁপে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো ও শসা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ পণ্য তিনটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

দাম অপরিবর্তিত থাকা অন্য সবজির মধ্যে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা, সজনে ডাটা ৬০-৮০, বরবটি ৬০-৭০, কচুর লতি ৭০-৮০, করলা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। প্রতি কেজি ধুন্দুল ৭০-৮০, বেগুন ৪০-৬০, মুলা ৪০-৫০, গাজর ৩০-৪০, এবং ঢেঁড়শ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজারে, ব্রয়লার মুরগি আগের সপ্তাহের মতই বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭৫ টাকা কেজি দরে। লাল লেয়ার মুরগি ২১০-২২০, আর পাকিস্তানি কক বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকা কেজিতে। মুরগির মত দাম অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। আর বাজার ভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৩০-৫৫০ টাকা কেজি। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকায়।

মাংসের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজিতে। পাঙাশ ১৫০-১৮০, রুই ৩৫০-৬০০, পাবদা ৬০০-৭০০, টেংরা ৭০০-৮০০, শিং ৫০০-৬০০ এবং চিতল বিক্রি হচ্ছে ৬০০- ৮০০ টাকা কেজি।

-জেডসি