ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ২২:২২:৩৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

দেশে সবচেয়ে বেশি গরিব কুড়িগ্রামে, সবচেয়ে কম নারায়ণগঞ্জে

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৫১ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২১ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দেশের সবচেয়ে বেশি গরিব মানুষের জেলা এখন কুড়িগ্রাম। এর বিপরীতে সবচেয়ে কম গরিব মানুষের জেলা নারায়ণগঞ্জ। এ জেলার অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার ওপরে রয়েছে। তবে হতদরিদ্র কম থাকলেও শিক্ষায় সবচেয়ে পিছিয়ে আছে এই জেলাই। আর সম্পদের দিক থেকে একেবারে শেষে অবস্থান করছে সুনামগঞ্জ জেলা।

এসব তথ্য উঠে এসেছে সরকারি এক সমীক্ষায়। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) ও যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে সমীক্ষাটি করিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।
এই সমীক্ষাতেই দেশের ধর্মভিত্তিক ধনী-গরিবের হার বের করা হয়েছে প্রথমবারের মতো। পাশাপাশি জাতিগত ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর দারিদ্র্যের হারও বের করা হয়েছে।

সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এখন সবচেয়ে কম হতদরিদ্রের সংখ্যা নারায়ণগঞ্জে, যা শতকরা হিসাবে মাত্র ১ শতাংশের নিচে। অথচ এই জেলায় ৬ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে স্কুলে যাচ্ছে না ১৮ দশমিক ৪২ শতাংশই। অর্থাৎ জেলাটিতে প্রতি ১০০ শিশুর মধ্যে ১৮ জনই পড়াশোনার মধ্যে নেই, স্কুলে যায় ৮১ দশমিক ৫৮ শতাংশ শিশু।

নারায়ণগঞ্জ জেলার আয়ে সবার শীর্ষে, অথচ শিক্ষায় সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা নিয়ে সমীক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলফিকার আলী বলেন, ‘এটি একটি শিল্প এলাকা, যেখানে রয়েছে নানা ধরনের কলকারখানা। ফলে সেখানে আয়ের উৎস বেশি। কিন্তু আয় বেশি হলেই যে অভিভাবকেরা শিক্ষায় গুরুত্ব দেবেন, তা না-ও হতে পারে। কাজের প্রচুর সুযোগ থাকায় অনেক পরিবারই তাদের সন্তানদের কাজে নামিয়ে দিচ্ছে।’

সমীক্ষা অনুযায়ী, কুড়িগ্রাম দেশের সবচেয়ে গরিব জেলা। এই জেলার ৫৪ শতাংশ মানুষই হতদরিদ্র। গরিব জেলার তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে বান্দরবান (৫০ শতাংশ) ও দিনাজপুর (৪৫ শতাংশ)। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলা সম্পদের দিক দিয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে। সুনামগঞ্জে ৬৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ মানুষের একটির বেশি সম্পদ নেই। সম্পদ কমের দিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে কক্সবাজার (৫৯ শতাংশ) ও বান্দরবান (৫৬ শতাংশ)।

উপজেলার হিসেবে দেশের সবচেয়ে গরিব উপজেলা হলো বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম এবং কুড়িগ্রামের রাজীবপুর।

সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে বেশি আয়বৈষম্যের জেলা খুলনা। আয়বৈষম্যে এর পরেই রয়েছে যথাক্রমে পিরোজপুর, কুষ্টিয়া ও নওগাঁ জেলা। এর বিপরীতে সবচেয়ে কম আয়বৈষম্যের জেলা কক্সবাজার। এরপরে সবচেয়ে কম আয়বৈষম্যের তালিকায় আছে যথাক্রমে সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহ।

ধর্মের ভিত্তিতে আয়ের দিক থেকে মুসলমানদের মধ্যে হতদরিদ্রের হার শতকরা ১১ শতাংশ। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ১৪ শতাংশ, খ্রিস্টধর্মের ২১ শতাংশ ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ২২ শতাংশ মানুষ হতদরিদ্র।

এ ছাড়া হতদরিদ্রের তালিকায় জাতিগত ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে রয়েছে চাকমাদের ৭১ শতাংশ, সাঁওতালদের ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ, মারমাদের ৬৫ শতাংশ, ত্রিপুরাদের ৭৭ শতাংশ, গারোদের ৪৭ শতাংশ, ম্রোদের ৯৮ শতাংশ, খাসিয়াদের ১৭ শতাংশ ও মণিপুরিদের ৮ শতাংশ।

সমীক্ষাটি করার কারণ হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইনকে বলেন, জাতিসংঘ–ঘোষিত ১৫ বছরমেয়াদি (২০১৫-৩০) টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী সব দেশ বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (মাল্টিডাইমেনশনাল পোভার্টি ইনডেক্স) ব্যবহার করে দারিদ্র্যের হার বের করতে সম্মত হয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ অনেক দেশ এরই মধ্যে আয়ের ভিত্তিতে দারিদ্র্য পরিমাপ বাদ দিয়ে বহুমাত্রিক পদ্ধতিতে দারিদ্র্যের হার বের করছে। বাংলাদেশ এখনো শুরু করেনি। এ সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গেল, আমাদের অবস্থানটা ঠিক কোথায়। তাই বাংলাদেশও আয়ের ভিত্তি বাদ দিয়ে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক দিয়ে দারিদ্র্য পরিমাপ করবে।’