ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩৫:১৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের কমল স্বর্ণের দাম মক্কা ও মদিনায় তুমুল বৃষ্টির শঙ্কা খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল

ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩২ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

দেশজুড়ে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন জারি করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যক্রোঁ। লকডাউন কমপক্ষে আগামী নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত জারি থাকতে পারে। এ সময় অপ্রয়োজনীয় ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন, রেস্টুরেন্ট এবং বার বন্ধ রাখা হবে। তবে স্কুল এবং বিভিন্ন কারখানা চালু থাকে বলে জানােনো হয়েছে। খবর বিবিসির।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, নতুন বিধি-নিষেধের আওতায় শুক্রবার থেকে লোকজন শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কাজে বা ওষুধপত্র কেনার জন্য বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি পাবেন।

গত এপ্রিল থেকেই ফ্রান্সে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার দেশটিতে নতুন করে ৩০ হাজারের বেশি সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। তবে এবারের লকডাউন প্রথম দফার মতো কঠোর হবে না বলে জানানো হয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ৩৫ হাজার ১৩২। এর মধ্যে মারা গেছে ৩৫ হাজার ৭৮৫ জন।

এদিকে, জার্মানিতেও জরুরি ভিত্তিতে লকডাউন জারি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দেশটিতে রেস্টুরেন্ট-বার, জিম এবং থিয়েটার বন্ধ রাখা হবে।

পুরো ইউরোপজুড়েই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। যুক্তরাজ্যে গত বুধবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও ২৪ হাজার ৭০১ জন। অপরদিকে মারা গেছে ৩১০ জন। প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় করোনার প্রকোপ বেশি। অবশ্য এখন নমুনা পরীক্ষাও হচ্ছে বেশি। এ দিকে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে জারি হয়েছে রাত্রীকালীন কারফিউ।

বড়দিনে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মানুষের দেখা করতে দেয়ার ব্যাপারে জার্মান সরকার আগ্রহী হলেও দেশটিতে রেকর্ড সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় মহামারি করোনা সংক্রমণ নিয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে ফ্রান্স সরকার। প্রতিদিন অর্ধ লক্ষাধিক নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। প্যারিসের হাসপাতালগুলোর জরুরি সেবা দেয়ার মতো শয্যাগুলোর ৭০ শতাংশই এখন পূর্ণ।

এদিকে, সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ থেকে জানা গেছে যে, ইংল্যান্ডে প্রতিদিন নতুন করে প্রায় এক লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মহামারির গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং প্রতি ৯ দিনে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ‌‌‘আমরা একটি জটিল অবস্থার মধ্যে আছি।’ বেশ কিছু জিনিস পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তারা। ফ্রান্সের প্রায় ৪ কোটি ৬ লাখ মানুষের ওপর রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে।

বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেছেন, মহামারি নিয়ন্ত্রণে কঠোরভাবে বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে। ফ্রান্সের অধিকাংশ হাসপাতালের ইন্টেন্সিভ কেয়ার কোভিড-১৯ রোগী দিয়ে পূর্ণ। তিনি বলেন, নতুন বিধি-নিষেধের আওতায় লোকজনকে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। বাড়ির বাইরে বের হতে তাদের যথাযথ কারণ দেখাতে হবে।

সব ধরনের জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। তিনি এ বিষয়টি পরিস্কার করেছেন যে, সরকারি অফিস ও বিভিন্ন কারখানা খোলা থাকবে যেন অর্থনীতি ধসে পড়া রোধ করা যায়।

-জেডসি