ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৭, নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৬:২৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
প্রেসিডেন্ট হিসেবে যেদিন শপথ নেবেন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমেই যে ৭ কাজ করবেন ট্রাম্প মার্কিন নির্বাচনে ৫ বাংলাদেশির জয় নির্বাচনে হেরে যা বললেন কমলা হ্যারিস ট্রাম্পকে ফোন করে অভিনন্দন জানালেন কমলা ঢাকার রাস্তায় কেউ দোকান বসাতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যোনিতে জ্বালা ভাব ও চুলকানি, স্বস্তি মেলাতে করণীয় 

স্বাস্থ্য ডেস্ক     | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নারীদের মধ্যে ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশন খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এই সমস্যা হলে যোনি এলাকায় অস্বস্তি, চুলকানি, জ্বালাভাবের মতো সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু অধিকাংশ নারীই এসব সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে চান না। লজ্জা পান। এড়িয়ে চলেন। 

কিন্তু এই সমস্যার সমাধান না করলে বিপদ আপনারই। এই সংক্রমণের লক্ষণ কী? কীভাবেই বা মিলবে পরিত্রাণ?— সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে এ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানান স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চন্দ্রিমা দাশগুপ্ত। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক- 

কাদের মধ্যে ঝুঁকি বেশি?

যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের মধ্যে ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ সঙ্গী হলে এই সমস্যা হতে পারে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা কিংবা ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবেও যোনিতে এই সমস্যা হয়। 
কোনো কারণে যোনির ভেতরের ভালো ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় এই সংক্রমণ খুব স্বাভাবিক। 

ভ্যাজাইনাল ইস্ট সংক্রমণের উপসর্গ

যোনি এলাকায় অস্বস্তি
যোনির চারপাশে ও ভেতরে চুলকানি
যৌনাঙ্গের চারপাশে লালচে ভাব ও জ্বালা ভাব
ফেনাযুক্ত সাদা স্রাব নির্গত হওয়া

চিকিৎসা

ভ্যাজাইনাল ইস্ট সংক্রমণের চিকিৎসায় সাধারণত দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহার হয়। কখনো কখনো যোনি এলাকায় অয়েনমেন্ট লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। আবার অনেকসময় ওষুধও খেতে হয়। মূলত এই সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টি-ফাঙ্গাল টিট্রমেন্ট করা হয়।

ভ্যাজাইনাল ইস্ট সংক্রমণ দমনের উপায়

যৌনাঙ্গে ইস্ট সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে গেলে অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সাধারণত কয়েকটি বিষয় মেনে চললেই এই সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা যায়। 

যোনির ভেতরে কোনোভাবে পানি বা সাবান কিছু দেওয়া যাবে না। কেবল যোনির ওপরের অংশ পরিষ্কার করবেন। যোনি ভেতর কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে, সেগুলো নষ্ট হয়ে গেলেই বিপদ বাড়ে। যোনি এলাকা পরিষ্কারের জন্য পানি ও সাবান ব্যবহার করুন। যোনির ভেতরের অংশে যেন তা না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। 

ক্ষারহীন সাবান ব্যবহার করুন। যোনি এলাকায় কোনো সুগন্ধি পণ্য ব্যবহার করবেন না। গোসলের পানিতে অল্প সাদা ভিনেগার মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
ভেজা অন্তর্বাস পরে থাকবেন না। অন্তর্বাস ভিজে গেলে দ্রুত তা পরিবর্তন করে নিন। পাশাপাশি টাইট অন্তর্বাস এড়িয়ে চলুন। সুতির অন্তর্বাস পরুন। টাইট প্যান্ট বা লেগিংস এড়িয়ে চলুন। 

পিরিয়ডের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। স্যানিটারি প্যাড ও ট্যাম্পন সময়মতো পরিবর্তন করুন। মেন্সট্রুয়াল কাপও ব্যবহার করতে পারেন