ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫৮:৪২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

আমার ছেলে শিবির করতো না: নিহত ফাহাদের মা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৩৬ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) খুন হওয়া শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন বলেছেন, আমার ছেলে আবরার ফাহাদের কোনো শত্রু ছিল না। সে কোনো রাজনৈতিক দল বা শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তবে তাবলীগে জড়িত ছিল। আমােদর পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক। কেন, কী কারণে তাকে খুন করা হলো, তা আমরা কিছুতেই বুঝতে পারিছ না।

আজ সোমবার সকালে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাসাতে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাসার পাশেই নিহত আবরারদের বাসা।

সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, আবরারের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। পরিবারের সদস্যরা বুঝে উঠতে পারছেন না এতো মেধাবী ও শান্তশিষ্ট ছেলেটিকে কারা কী কারণে হত্যা করল।

বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই হলের নিচতলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে হত্যা করেছে।

আবরারের বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের নিরীক্ষক কর্মকর্তা ছিলেন। মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড়। ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সেও ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের কাছেই তার হোস্টেল।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ দিন আগে ছুটিতে দুই ভাই বাড়িতে এসেছিলেন। এ মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে চেয়েছিলেন আবরার। তবে সামনে পরীক্ষা, তাই পড়াশোনার চাপ আছে একথা বলে গতকাল রোববার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন আবরার। ছোট বেলা থেকেই আবরার ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাস করেন আবরার। এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হন আবরার। চান্স পেয়েছিলেন মেডিকেলেও।

ছেলের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে মা রোকেয়া খাতুন বলেন, রোববার সকালে আমি তাকে নিজে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। সে ঢাকায় রওনা দেয়। মাঝে তিন থেকে চারবার ছেলের সঙ্গে মুঠোফোনে আমার কথা হয়। বিকেল ৫টায় হলে পৌঁছে ছেলে আমাকে ফোন দেয়। এরপর আর কথা হয়নি। রাতে অনেকবার ফোন দিয়েছিলাম, ও আর ফোন ধরেনি।

ছোট ভাই আবরার ফায়াজ বলেন, ফোন না ধরায় আমি ফেসবুকের মেসেঞ্জারে ভাইয়াকে নক করি। ভাইয়া সে সময়ও ফেসবুকে অ্যাকটিভ ছিল, তবে সাড়া দেয়নি।

চাচা মিজানুর রহমান বলেন, আবরার ফাহাদ শিবিরের কর্মী বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটা বানোয়াট, আবরার একজন উদারমনা ও প্রগতিশীল ছেলে। আমরা গোটা পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক। হানিফ সাহেবের সব প্রোগ্রামে আমরা যাই। তবে আবরার তাবলিগে যেত। বুয়েটে ভর্তির পরও দুই তিনবার সে তাবলিগে গিয়েছিল।

এর আগে গত ৫ অক্টোবর এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে নিজের ফেসবুকে দুটি সমালোচনামূলক পোস্ট দেন আবরার।

-জেডসি