ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ৯:৩৬:৪৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

একই পরিবারে ৪ পঙ্গু, সহযোগীতা চান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:১৯ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিয়তির নির্মম পরিহাসে প্রায় ২০ বৎসর যাবত অসহায়ত্ব মানবেতর জীবন-যাপন করছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর গ্রামের একটি পরিবার।  পরিবারের চারজন শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে বড় একটা অংশ কর্মক্ষম করতে না পারায় মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতা কামনা করছেন এই পঙ্গুত্ব পরিবার।

তারা হলেন- শেরপুর গ্রামের আব্দুল বারিকের স্ত্রী সফুরা খাতুন (৫০) এবং তার তিন ছেলে আবু কালাম (৩৫), রবি ইসলাম (৩২) ও রতন মিয়া (২৬) হামাগুড়ি দিয়ে বাড়ির উঠান থেকে ঘর পর্যন্ত কোনরকম চলাফেরা করতে পারে।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, চেহেরার রং কালচে বর্ণের, জীর্ণশীর্ণ ও কঙ্কালসার তাদের দেহ। ঠিকমতো কথা বলতে পারেনা। তাদের একজন বাক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। পুষ্টি জাতীয় খাবার তো দূরের কথা, তিন বেলা দুমুঠো ভাতই জোটেনা ঠিকমত তাদের কপালে। স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের মতো চলাফেরা করার একান্ত ইচ্ছা থাকলেও নেই শারীরিক ও অর্থের সামর্থ্য। অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা করতে না পারায় দিন-দিন দেহ নিস্তেজ ও হাড্ডিসার হয়ে যাচ্ছে।

কিভাবে চলছে, তাদের এই দুঃসহ জীবন তা জানাতে চাইলে ওই পরিবারের সদস্যরা বলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তির উদ্যোগে বাড়িতে একটি টিনের ভাঙ্গা-ছোড়া দুচালা ঘরে কোনরকম দিন কাটাতো। একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়ায় উক্ত ঘরটিতে তাদের ছোট বোন ও তার স্বামী পরিত্যক্ত আছমার ১ ছেলেকে নিয়ে তারা অবস্থান করছে।

আছমা অন্যের বাড়িতে কাজ করে ও পঙ্গুত্ব মা-ভাইদেরকে দেখাশুনা করে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনের ভরসা সফুরার স্বামী আব্দুল বারিক (৬৪)। তিনি দিন মজুরের কাজ করেন, আবার কাজ না পেলে পঙ্গু সন্তানকে নিয়ে ভিক্ষা করে খাবার যোগান। স্থানীয় লোকজন ও আব্দুল বারিক জানান, তার সন্তানরা বাল্যকালে অন্যদের মতো ভালোই ছিলেন।

প্রায় ২০ বৎসর পূর্বে মেঝো সন্তান রবি ইসলামের একধরনের জ্বর হয়েছিলো; তখন থেকেই ধীরে ধীরে তার শরীর রুগ্ন ও পঙ্গু হয়ে যায়।

সফুরা খাতুন জানান, কবিরাজিসহ বিভিন্ন চিকিৎসা করিয়েও ভালো হয়নি। একের পর এক তার ছেলে আবু কালাম ও রতন মিয়াসহ নিজেও একইভাবে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গু হয়ে যান।

ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মহসিন আহম্মদ জানান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ভুইয়া মিল্টন ও বর্তমান ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়ার মাধ্যমে উক্ত পরিবার দুইটি পঙ্গু ভাতা কার্ড পেয়েছেন।

তবে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব উদ্দিন মণ্ডল বলেন, বিষয়টি তার নজরে আসেনি।  কিন্তু, সরকারের দৃষ্টি কামনাসহ সকলের সহযোগীতা পেলে হয়তো পরিবারের কষ্ট লাঘব হবে বলে তারা জানান।

-জেডসি