ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১৬:৩৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

নুসরাত হত্যা: ফেনীর এসপি জাহাঙ্গীর প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৩৩ পিএম, ১২ মে ২০১৯ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর সোনাগাজিতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় দায়িত্ব অবহেলার দায়ে ওসিকে সরানোর পর এবার পুলিশ সুপার এস.এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে তাকে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক মীর সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নুসরাত জাহান রাফি হত্যার দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ার পর ফেনীর পুলিশ সুপার এস.এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে শনিবার একই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ ইকবাল আহাম্মদ ও এসআই মোহাম্মদ ইউসুফকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্তি করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক মীর সোহেল রানা বলেন, শনিবার পুলিশের সদর দপ্তরের ওই সূত্রটি জানিয়েছিল, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এ দুই এসআইকে দূরবর্তী পৃথক দুই ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে। সংযুক্তি শাস্তির প্রক্রিয়ার অংশ, এটি কোনো ধরনের বদলি নয়। সংযুক্তি সময়ে তারা কোনো দায়িত্ব পাবেন না। পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটির সুপারিশে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য অঞ্চলে সংযুক্ত হয়েছেন এসআই ইকবাল। অপরদিকে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে এসআই ইউসুফকে। একইসঙ্গে ফেনীর এসপি এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা আসবে।

গত ৬ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এ পর্যন্ত ২১ জন কারাগারে রয়েছেন। হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন মূল আসামিরা। যেখানে উঠে আসে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার নির্দেশনায় হত্যাকাণ্ডের পেছনে সংশ্লিষ্টদের নাম। অভিযোগ আছে, এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া ও মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।

ওই ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি এসএস রুহুল আমিনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অংশ হিসেবে ঘটনা বিকৃত করে ওসি মোয়াজ্জেমের পক্ষে পুলিশ সদর দফতরে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন এসপি জাহাঙ্গীর আলম।

-জেডসি