ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ৫:৫০:২৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

মেয়েদের ফুটবল থেকে ছেলে ফুটবলাররা যা শিখতে পারে

খেলাধুলা ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ১৫ জুন ২০১৯ শনিবার

মঙ্গলবার ফুটবল বিশ্বকাপে থাই মহিলা ফুটবল দলকে ১৩-০ গোলে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিফা মহিলা বিশ্বকাপে এত গোলে কোন দল এর আগে হারেনি।

কিন্তু থাই মহিলা দলের কাউকে ক্ষোভে-হতাশায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়নি। এই খেলায় যুক্তরাষ্ট্রের মহিলা দল যত ফাউল করেছিল, থাই দলের খেলোয়াড়রাও ততটাই করেছিল- মাত্র পাঁচটি।

এবারের বিশ্বকাপে কোন খেলায় এটাই দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ফাউলের ঘটনা।

পুরুষদের বিশ্বকাপের খেলায় এটা কল্পনাই করা যায় না। পুরুষদের ফুটবলে শৃঙ্খলা আর শারীরিকভাবে চড়াও হওয়ার ঘটনা একটা বড় সমস্যা।

২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের কথা ধরা যাক। সেবার নাকি সবচেয়ে 'ভদ্র দল' ছিল জার্মানি। তারা তিন ম্যাচে তাদের বিরোধী পক্ষের বিরুদ্ধে ২৯ বার ফাউল করে। মেয়েদের ফুটবলে গ্রুপ স্টেজে থাই দলকে যতগুো ম্যাচ খেলতে হবে, এই সংখ্যা তার সমান।

মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপে লাল কার্ড আর হলুদ কার্ডের সংখ্যাও অনেক কম।

২০১৫ সালের মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে ১১৫টি হলুদ কার্ড আর মাত্র দুটি লাল কার্ড দেখানো হয়। অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে গড়ে ২ দশমিক ২টি হলুদ কার্ড আর শূণ্য দশমিক ১টি লাল কার্ড।

এর মানে মেয়েদের খেলায় যে অসভ্যতা কম সেটাই শুধু নয়, তাদের খেলায় রেফারিদের কথা না মানার ঘটনাও অনেক কম।

তুলনা করা যাক ২০১৮ সালে রাশিয়ায় পুরুষদের বিশ্বকাপের সঙ্গে। সেবার সব মিলিয়ে হলুদ কার্ড দেখানো হয় ২১৯ টি। প্রতি ম্যাচে ৩ দশমিক ৪২টি। আর লাল কার্ড ছিল ৪টি। আর গ্রুপ পর্যায়ে প্রতি ম্যাচে ফাউল হয়েছিল ২৭টি।

মেয়েদের বিশ্বকাপের ব্যাপারে ফিফা এখনো পর্যন্ত অত বিশদ পরিসংখ্যান দেয় না। কিন্তু খেলার সময় যখন খেলোয়াড়দের একজনের সঙ্গে আরেকজনের ধাক্কা লাগে, তখন পুরুষ খেলোয়াড়রাই বেশি আঘাত পাওয়ার ভান করে বলে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে।

যে ধরণের আঘাত পেলে রক্ত ঝরতে দেখা যায়, বা পাঁচ মিনিটের মধ্যে বদলি খেলোয়াড় নামাতে হয়, আঘাত পাওয়ার ভান করা পুরুষ খেলোয়াড়দের বেলায় সেরকম ঘটনা মাত্র আট শতাংশ। কিন্তু নারী খেলোয়াড়দের বেলায় এমন ঘটনা ১৪ শতাংশ।

তবে এই গবেষক দলের প্রধান ড: ড্যারিল রোজেমবাউম এর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

"পুরুষ খেলোয়াড়রা শারীরিক দিক থেকে অনেক বড় এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন। তাদের মধ্যে যখন ধাক্কা লাগে, তখন প্রাথমিকভাবে সেটিতে ব্যাথা হয় অনেক বেশি। তবে এজন্যে তাদের খেলা থেকে তুলে নেয়ার দরকার সবসময় হয় না। তবে একই সঙ্গে এটাও সত্য তারা ঘনঘন ধাক্কাধাক্কি করে আঘাতের ভান করার মাধ্যমে হয়তো রেফারিকে প্রভাবিত করারও চেষ্টা করে।"

রেফারিকে ধোঁকা দেয়ার জন্য মহিলা খেলোয়াড়রাও যে একই কৌশল অবলম্বন করে না তা নয়।

ইএসপিএনের একজন ধারাভাষ্যকার জুলি ফাউডি মনে করেন, মহিলারা হয়তো খেলাধূলায় এখনো এরকম কৌশল নিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেনি। কিন্তু তার মতে, মেয়েদের ফুটবলে পেশাদারিত্ব যত বাড়বে, এমন প্রবণতা মেয়েদের খেলাতেও দেখা দিতে পারে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা