ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ১১:০৭:০৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খিলগাঁওয়ে একইদিনে তিন শিশুর মৃত্যু শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

সুচিত্রা সেনের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৬ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৭ জানুয়ারি। ২০১৪ সালের আজকের দিনে কলকাতায় বেলভিউ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার অনবদ্য অভিনয় এবং অপরূপ সৌন্দর্য আজও দাগ কেটে আছে কোটি দর্শকের হৃদয়ে।  ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন এই গুনী শিল্পী।

সুচিত্রা সেন ১৯৫২ সালে চলচ্চিত্র জগতে প্রথম পা রাখেন। তার প্রথম সিনেমা ‘শেষ কোথায়’ মুক্তি পায়নি। এরপর ১৯৫৩ সালে মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে সাড়ে চুয়াত্তর ছবি করে সাড়া ফেলে দেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে। সুচিত্রা সেন বাংলা ও হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি দেবদাস (১৯৫৫)।

সুচিত্রা সেন ১৯৭৮ সালে প্রণয় পাশা ছবি করার পর লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। এরপর থেকে তিনি আর জনসমক্ষে আসেননি। মাঝে একবার ভোটার পরিচয়পত্রের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ছবি তুলতে ভোটকেন্দ্রে যান। সুচিত্রা সেন ছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ভক্ত। একবার তিনি গোপনে কলকাতা বইমেলায় গিয়েছিলেন।

বলিউড-টালিউডের বহু পরিচালক সুচিত্রা সেনকে নিয়ে ছবি করতে চাইলেও তিনি এতে সম্মত হননি। এমনকি দেশ-বিদেশের কোনো পরিচালক বা অভিনেতা বা অভিনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎও দেননি তিনি। সেই থেকে তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালেই থেকে যান। যদিও তার বাসভবনে তিনি কেবল কথা বলেছেন তার একমাত্র মেয়ে মুনমুন সেন এবং দুই নাতনি রিয়া ও রাইমার সঙ্গে।

১৯৭২ সালে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মশ্রী পান। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাংলাবিভূষণ সম্মাননা দেয়া হয় তাকে। ২০০৫ সালে সুচিত্রা সেনকে ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার দেয়ার প্রস্তাব করা হলে সুচিত্রা সেন দিল্লীতে গিয়ে ঐ সম্মান গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সুচিত্রা সেন ১৯৬৩ সালে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সাত পাকে বাঁধা ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে-পথে হলো দেরি, অগ্নিপরীক্ষা, দেবদাস, সাগরিকা, শিল্পী,  রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত, দ্বীপ জ্বেলে যাই, চাওয়া পাওয়া, সাত পাকে বাঁধা, উত্তর ফাল্গুনী, হার মানা হার ও প্রণয়পাশা,  প্রমুখ।

সুচিত্রা সেনের পঞ্চম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে পাবনায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন। সকাল ১০টায় পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেম সাগর লেনে মহানায়িকার পৈতৃক বাড়িতে তার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।