ঢাকা, বুধবার ২৩, অক্টোবর ২০২৪ ৫:৫০:১৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নারী বিশ্বকাপের সেরা একাদশে এক বাংলাদেশি গাজায় আরও একটি স্কুলে হামলা, নিহত ১০ চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২৫০, রোগী অর্ধলক্ষাধিক আম্পানের মতো একই পথে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ নিরাপদ সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা কল্যাণ রাষ্ট্রের অন্যতম নিয়ামক

কাগজি লেবু চাষে সফলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ভোলার লালমোহন উপজেলায় কাগজি লেবু চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন মো. মিরাজ হায়দার নামে এক ব্যক্তি। লালমোহনের কালমা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরছকিনা এলাকায় নিজ জমিতে লেবু চাষ করে বছরে প্রায় ছয় লাখ টাকার লেবু বিক্রি করেন তিনি।

সেখান থেকে খরচ বাদে মিরাজ হায়দারের অন্তত পাঁচ লাখ টাকা লাভ হয়। মিরাজ হায়দার চরছকিনা এলাকার শামছুল মাস্টার বাড়ির শাহে আলম কামালের ছেলে।

জানা যায়, ২০১৮ সালে মাত্র ২২টি গাছ নিয়ে নিজ জমিতে কাগজি লেবুর বাগান শুরু করেন মো. মিরাজ হায়দার। এর দুই বছরের মাথায় ২০২০ সালে ঐ বাগানে গাছ বাড়িয়ে করেন চারশত। বাড়ানো হয় জমির পরিমাণও। এরপর ২০২১ সাল থেকে ১৪০ শতাংশ জমিতে বিস্তৃত ঐসব গাছে আসতে শুরু করে লেবু। প্রতি মাসে বাগান থেকে একবার লেবু তোলেন মিরাজ হায়দার। তার বাগানের লেবু মৌসুমে প্রতি হালি ১০ টাকা হলেও অন্য সময় ৪০ টাকা দরে প্রতি হালি বিক্রি হয়। লালমোহনসহ জেলার বিভিন্ন হাটে এসব লেবু বিক্রি করা হয়। মিরাজ হায়দারের লেবু বাগানে বর্তমানে তিনজন শ্রমিক কাজ করেন।


লেবু চাষি মো. মিরাজ হায়দার বলেন, ২০১৮ সালে ২২টি গাছ দিয়ে প্রথম স্বল্প আকারে লেবুর বাগান শুরু করি। ঐ গাছের লেবু বিক্রি করে মোটামুটি ভালো লাভ হয়। এরপর চিন্তা করি বাগানের আয়তন বৃদ্ধি করার। পরে ২০২০ সালে আমার এক ভাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে তার সহযোগিতায় বাগানে জমির পরিমাণ বাড়িয়ে চারশত লেবুর কলম লাগাই। এর এক বছর পর ২০২১ সালে গাছগুলোতে লেবু আসে। তখন থেকে প্রতি বছর ঐ বাগান থেকে গড়ে ছয় লাখ টাকার লেবু বিক্রি করছি। এখান থেকে খরচ বাদে আমার লাভ হয় অন্তত পাঁচ লাখ টাকা। এছাড়া, আমার এই লেবু বাগানে তিনজন শ্রমিক কাজ করছেন। এতে করে তাদেরও কর্মসংস্থান হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ এই লেবুর আয়ে আমি ভালো আছি।


মিরাজের লেবু বাগানে কাজ করা শ্রমিক মো. জাহাঙ্গীর ও মো. রুবেল বলেন, কয়েক বছর ধরে মিরাজ মিয়ার লেবু বাগানে আমরা কাজ করছি। মাস শেষে এখান থেকে ভালো মজুরি পাচ্ছি। এ আয় দিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সংসার চালাচ্ছি।


অন্যদিকে, চাষি মিরাজের সফলতা দেখে লেবু চাষে উদ্যোগী হচ্ছেন অনেকে। লেবু চাষি মিরাজ হায়দারের প্রতিবেশী খলিল বেপারী ও মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের প্রতিবেশী মিরাজ লেবু চাষ করে এখন ভালো টাকা আয় করছেন। তাই আমরাও চিন্তা করছি লেবু বাগান তৈরি করবো। কারণ এখানে কম খরচ ও কম পরিশ্রমে ভালো টাকা আয় করা যায়।

লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র দাস বলেন, মিরাজ হায়দার লেবু চাষে ভালো সফলতা পেয়েছেন। তাকে কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকরণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেকোনো প্রয়োজনে তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।


এই কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, লেবু চাষে খরচ ও পরিশ্রম অনেক কম হয়। বাজারেও লেবুর অনেক চাহিদা থাকে। তাই নতুন করে যদি কেউ আগ্রহী হন, তাদেরকেও কৃষি অফিস থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। আমরা মনে করি- সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করলে বেকারত্ব কমার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।