ঢাকা, বুধবার ১৮, জুন ২০২৫ ২০:৪৪:০৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া উপকূলে চলছে ভারী বর্ষণ, জনজীবন স্থবির বাসের ধাক্কায় মা-ছেলেসহ সিএনজির তিন যাত্রী নিহত ৬০ কিমি বেগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়লো

ছাদের ফুল বাগানে স্বপ্ন পূরণ উদ্যোক্তা যুথির

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:০৪ পিএম, ২৪ মে ২০২৫ শনিবার

উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফেরদৌস যুথি

উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফেরদৌস যুথি

জান্নাতুল ফেরদৌস যুথি; পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার যুথী একজন গৃহবধূ। ভালো লাগা থেকে নিজ বাড়ির ছাদে ফুলের বাগান করে সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন। তিনি প্রতি মাসে ফুলের বাগান থেকে বেশ ভালো অর্থ উপার্জন করছেন।

লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ ও সবুজ ফুলের বাগান করেছেন ঈশ্বরদী পৌরসভার মধ্য অরুণখোলার জান্নাতুল ফেরদৌস যুথি। যেদিকেই তাকাই, তার ফুলের বাগানে রঙিন গাছের মেলা দেখতে পাওয়া যায়। এখন অনেকেই যুথির মতো ফুলের বাগান করতে আগ্রহী।

যদিও যুথি ২০১৯ সালে কয়েকটি গাছ দিয়ে শুরু করেছিল, তার সংগ্রহে এখন ৩০০ টিরও বেশি দেশী এবং বিদেশী ক্যাকটাস এবং রসালো প্রজাতি রয়েছে। আর অনলাইন ও অফলাইনে চারা-ফুল বিক্রি করে মাসে প্রায় ১৫  থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন। 

পাঁচ বছরে, তার বাগানে অ্যাঞ্জেল উইং, ক্রিসমাস, লেডিফিঙ্গার, প্যারোডিয়া, ইঁদুরের লেজ, ব্যারেল, মুন, অ্যালো, অ্যালো, ঘৃতকাঞ্চন সহ দেশ-বিদেশের ৩০০ টিরও বেশি ক্যাকটাস এবং বিভিন্ন ধরনের রসালো গাছ রয়েছে।  শখের বশে ফুলের বাগান করা শুরু করলেও তার বাগানই এখন যুথির আয়ের উৎস।

তিনি জানান, করোনার সময় অলস টাইমে বাড়িতে বসে বাগান করার পরিকল্পনা তার মাথায় আসে। "সৌন্দর্য বাড়াতে প্রথমে আমরা ছাদে কিছু ক্যাকটাস ও রসালো গাছ সংগ্রহ করি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বিনিয়োগ ও চারা সংগ্রহের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

যুথি বলেন, বর্তমানে আমার বাগানে কয়েকশ’ দেশী-বিদেশী চারা রয়েছে। যুথি আরও বলেন, নারীরা সবসময়ই স্বাবলম্বী হতে সামাজিক বাধার সম্মুখীন হন। সবার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এই উদ্যোগটি আরও উৎসাহিত করবে যারা ঘরে বসে স্বাবলম্বী হতে চান।"যারা আমার মতো বাগান করতে আগ্রহী তাদের পরামর্শ এবং চারা সংগ্রহ করে আমি সবসময় সাহায্য করব।"

যুথির স্বামী এনামুল হক বাবু বলেন,‘ছোটবেলা থেকেই গাছের প্রতি আমার দুর্বলতা। আমি ঈশ্বরদী পৌরসভায় চাকরি করি। আমাদের বাগানে বেশিরভাগ সময় আমার স্ত্রী রক্ষণাবেক্ষণ এবং যত্নের কাজ করেন। আমি শুধু দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ করি। বাগানটি এখন বাণিজ্যিকভাবে পরিণত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা অর্ডার দেন। আমি আমার স্ত্রীকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চারা পৌঁছে দিয়ে সাহায্য করি।