ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:২৪:২০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

নারী বিশ্বকাপে যেসব তারকা ফুটবলার আলাদা দৃষ্টি কাড়বে

স্পোর্টস ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৪২ এএম, ২১ জুলাই ২০২৩ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ফিফা নারী ফুটবল বিশ্বকাপের নবম আসর মাঠে গড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে নারী ফুটবলের এই সর্বোচ্চ আসর। নিউজল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় যৌথ আয়োজনে এবারের নারী বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে ৩২ দেশ।

এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো একগুচ্ছ তারকা একত্রিত হয়েছেন যারা ফুটবল পিচে জাদু দেখাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এসব ম্যাচের টিকেট বিক্রি রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবলাররা যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটা তারই প্রমাণ।

বিবিসির তরফ থেকে ১২ জন ফুটবলারকে বেছে নিয়েছে; যাদেরকে এবারের বিশ্বকাপের প্রধান নায়িকা হিসেবে বর্ণনা করা যায়।

১. স্টেফানি বানিনি, আর্জেন্টিনা

ফুটবলের আলোচনা সাধারণত শুরু হয় আর্জেন্টিনা দিয়ে। সেখানে ৩৩ বছর বয়সী ফুটবল ভেটারান এবং দলের অধিনায়ক এস্তেফানিয়া বানিনির নামই সবার সামনে চলে আসে। তিনি বর্তমানে স্প্যানিশ মহিলাদের ফার্স্ট ডিভিশনে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের একজন মিডফিল্ডার হিসেবে খেলছেন। চলতি মৌসুমে তিনি ২৮টি লিগ গেম খেলেছেন, দুটিতে গোল করেছেন এবং একটি গোলে সহায়তা করেছেন।

তার পেশাদার ফুটবল জীবনের শুরু ২০১০ সালে। অ্যাবসলিউট অ্যালবিসেলেস্টে ক্লাবের হয়ে ২০১৪ সালে তার দল চিলিতে দক্ষিণ আমেরিকান গেমসে শিরোপা জিতেছিল।

২. স্যাম কার, অস্ট্রেলিয়া

বিশ্বকাপ যদি হলিউডের মুভি হতো তাহলে তার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার জন্য স্যাম কারকেই বেছে নেয়া হতো। ২৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড স্বাগতিক দেশ অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। তিনি তাদের সবচেয়ে সুপরিচিত আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় এবং যে নামে তার দলটি পরিচিত, সেই ‘মাটিল্ডা’র ইতিহাসে তিনিই সর্বোচ্চ গোলদাতা।

৩. মার্টা ভিয়েরা, ব্রাজিল

ব্রাজিলকে বাদ দিয়ে ফুটবল হয় না এবং মার্টা ভিয়েরাকে বাদ দিয়ে আপনি ফুটবলের আলোচনা চালাতে পারবেন না। ফিফার সেরা বিশ্ব নারী খেলোয়াড় হিসাবে তিনি ছয়বার নির্বাচিত হয়েছেন। ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার এবং স্কোরার হিসাবে তার সাফল্য সেই সাক্ষ্যই দেয়।

ব্রাজিল টিমে ভিয়েরা সর্বকালের সর্বোচ্চ স্কোরার (১১৫ গোল) এবং পুরুষদের নিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১৭ গোল করে তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতাদের একজন। বর্তমানে অবসরে যাওয়া জার্মান ফুটবলার মিরোস্লাভ ক্লস ১৬ জনের এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

৪. লিন্ডা কাইসেডো, কলম্বিয়া

তার বয়স হয়েছে সবে মাত্র ১৮ বছর, কিন্তু তার প্রতিভা ইতোমধ্যেই তাকে রিয়াল মাদ্রিদের নারী ফুটবল টিমে যোগ দিতে সাহায্য করেছে। এই দলটির আশা, স্প্যানিশ ফুটবলে তারা বার্সেলোনা এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের আধিপত্যকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবে। গত বছর গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে স্প্যানিশ তারকা অ্যালেক্সিয়া পুটেলাসের পর তাকেই বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা ফুটবলার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।

একজন ফরোয়ার্ড হিসেবে কাইসেদা গত ফেব্রুয়ারি মাসে রিয়ালে যোগদান করেন। তারপর থেকে তিনি দুটি গোল এবং চারটি অ্যাসিস্টসহ মোট ১০টি ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ২০২১ আমেরিকা ডি ক্যালির হয়ে এবং ২০১৯ সালে দেপোর্তিভো ক্যালির হয়ে কলম্বিয়ান মহিলা লিগে দু’বার চ্যাম্পিয়ন হন।

৫. রেকেল রড্রিগেস সেডেনো, কোস্টারিকা

প্রতিশ্রুতিবান তরুণ থেকে তিনি এখন কোস্টারিকান স্কোয়াডের দুর্দান্ত এক তারকা। উনত্রিশ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড এমন একটি জটিল গ্রুপে কোস্টারিকান দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যেখানে প্রধান ফেভারিট স্পেন। তবে স্পেনের জাতীয় দল ‘লা রখা’র বিপক্ষে খেলা তার জন্য কোন দুঃস্বপ্ন না।

২০১৫ সালে কানাডায় বিশ্বকাপে কোস্টারিকার অভিষেক ম্যাচে রড্রিগেজের গোলের সুবাদে কোস্টারিকা স্পেনের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। এই ফরোয়ার্ড প্লেয়ার দলের সিনিয়রদের সাথে ১০০টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন এবং ৫৬টি গোলের সুবাদে তিনি দলের সর্বকালের সেরা স্কোরার।

৬. অ্যালেক্সিয়া পুটেলাস, স্পেন

হাঁটুর ইনজুরির কারণে নারী ইউরোকাপ মিস করাই হোক কিংবা খেলোয়াড়দের সাথে স্প্যানিশ ফেডারেশনের বিবাদের কারণেই হোক, বিশ্বের সেরা প্লেয়ার হিসেবে দু দু’বার ব্যালন ডি’অর জেতার আগ পর্যন্ত অ্যালেক্সিয়া পুটেলাসের জয়যাত্রা মোটেই সহজ ছিল না।

এবারের বিশ্বকাপে ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে স্পেনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবেই গত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পেনের পরাজয় ঘটেছিল।

৭. অ্যালেক্স মরগান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

চার বছর আগে ফ্রান্সে ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জয়সূচক গোল করার পর, চা পান করার ভঙ্গী করে উল্লাস দেখানোর মাধ্যমে ইংল্যান্ডের ভক্তদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অ্যালেক্স মরগান।

এখন ৩৪ বছর বয়সে আবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শেষ ধাপে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ এবং ক্ষমতা তিনি পেয়েছেন। তার লক্ষ্য টানা তৃতীয়বার শিরোপা জেতা। এর জন্য বিশ্বকাপের ১৮টি ম্যাচে তাকে গোলসংখ্যা নয় থেকে আরও বাড়াতে হবে।

৮. মেলচি ডুমর্নে, হাইতি

‘আপনাকে মিথ্যে বলবো না, মেলচি ডুমর্নে আমার কাছে কোচিং নেওয়া সেরা খেলোয়াড়,’ বলছিলেন আমান্ডিন মিকেল। ফ্রেঞ্চ লিগে রিমসে ক্লাবে তিনি মেলচি’র কোচ। ফরাসি লিগে ডুমর্নের পারফরম্যান্সকে ফিফা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে ঐ মৌসুমের ১৭টি লীগ ম্যাচে তিনি ১১টি গোল করেন।

৯. কিরা ওয়ালশ, ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডে মেট্রোনোমের গতি এনে দেয়ার কারণে ইউরো ২০২২ ফাইনালের উত্তেজনাপূর্ণ টুর্নামেন্টে কিরা ওয়ালশ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। তারপর থেকে তিনি বার্সেলোনা ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

১০. আসিসাত ওশোয়ালা, নাইজেরিয়া

নাইজেরিয়া ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিটি নারী বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, কিন্তু শুধুমাত্র একবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। সেই বিরল কৃতিত্ব এবার অর্জিত হতে পারে ২৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আসিসাত ওশোয়ালার হাতে। ইনজুরির কারণে তিনি বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতার লড়াইটি মিস করেছিলেন।

১১. অ্যাডা হেগারবার্গ, নরওয়ে

ফুটবল মাঠে হেগারবার্গ গত এক দশক ধরে অবিসংবাদিতভাবে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। তিনি ২০১৮ সালে মহিলা ফুটবলের প্রথম ব্যালন ডি'অর বিজয়ী এবং লিওর হয়ে আটটি ফ্রেঞ্চ লিগ শিরোপা এবং ছয়টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার ইতিহাস তার রয়েছে।

মাঠের বাইরে ২৮-বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড একটি গুরুতর ইনজুরি থেকে সেরে উঠেছেন। পাশাপাশি, নরওয়েজিয়ান ফুটবল ফেডারেশন নারী ফুটবলের নিয়ে যে আচরণ করছে তার প্রতিবাদে জাতীয় দল বর্জন থেকে তিনি ২০২২ সালে সরে আসেন।

১২. মার্টা কক্স, পানামা

মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি পানামানিয়ান জাতীয় দলে যোগদান করেন। এই মিডফিল্ডার এবার যখন অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে গিয়ে হাজির হলেন তখন তার বয়স হয়েছে ২৫ বছর। মেক্সিকোর ইনাসিও কুইন্টানার নেতৃত্বে থাকা সেন্ট্রাল আমেরিকান টিমে তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।

বয়স অল্প হওয়া সত্ত্বেও কক্স ইতিমধ্যে দলের হয়ে পাঁচটি দেশে ম্যাচ খেলেছেন। তিনি বর্তমানে মেক্সিকোতে লিগা এমএক্স ফেমেনিলে টুর্নামেন্টে পাচুকা ক্লাবের হয়ে খেলছেন।