ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:২২:২০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

ব্যাখ্যা নয়, তিন বিচারপতির কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:০৪ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শোকজ নয়, হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম, বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের কাছে মামলা সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, হাইকোর্টে (একটি বেঞ্চে) ৪ থেকে ৫ ঘণ্টায় ৮০০ ব্যক্তির জামিন হয়েছে।

গতকাল গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এত এত জামিনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের এই তিন বিচারপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তবে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের আজকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিন বিচারপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ নয়, প্রশাসনিক কাজের অংশ হিসেবে মামলা সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিপুল সংখ্যক জামিন প্রদান করায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিন জন বিচারপতি মহোদয়কে শোকজ করে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এবং ফোন করে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি জাকির হোসেনকে এই নোটিশ সম্পর্কে অবহিত করেছেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাস্তবে প্রধান বিচারপতি উল্লেখিত তিন জন বিচারপতিকে কোনো শোকজ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেননি বরং প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলা সংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন যা আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার একটি নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়। সুতরাং উক্ত সংবাদে ব্যবহৃত তথ্যে মূল বিষয়টি বিকৃত ও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এছাড়া উক্ত বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপনীয় একটি যোগাযোগ (প্রিভিলেজড কোর্ট কমিউনিকেশন)।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা হচ্ছে- প্রতিটি গণমাধ্যম আদালত সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পূর্বে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংবাদ প্রচার করবে যাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ থাকে এবং জনগণ বিভ্রান্ত না হয়।