ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৫৯:০৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

স্মৃতির আয়নায় মায়ের শাড়ি: প্রবীর বিকাশ সরকার  

প্রবীর বিকাশ সরকার  | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৪৮ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২১ বুধবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

খুব ছোটবেলায় আমার এক বন্ধু গণেশের বড় বোন ছিল যিনি আমার মায়ের বয়সী ছিলেন প্রায়। নাতিদীর্ঘ সুঠাম এবং ফর্সা---তাঁকে দেখলেই আমার দুঃখ হত মনে। ভাবতাম, আহা! আমার বোনটা যদি বেঁচে থাকত তাহলে তাকে আমি গণেশের মতো “দিদি” বলে ডাকতে পারতাম! গণেশের বড়দিকে আমি “ঊষাদি” বলেই ডাকতাম। খুব আদর করতেন তিনি আমাকে। 
আমার জন্মের আগে এক বোন জন্ম নিয়েছিল কিন্তু বাঁচানো যায়নি দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলো বলে, মায়ের কাছেই একাধিকবার শুনেছি। যখনই কেউ মাকে “বেলাদি” বলে সম্বোধন করতেন আমি চমকে মায়ের মুখের দিকে তাকাতাম! “দিদি” এই শব্দটির মধ্যে বাঙালিত্বের যে মাধুর্য এবং শ্রী আছে সেটা তুলনাযোগ্য নয়, অনুধাবনযোগ্য। নিবিড়ভাবে তৃপ্তিলভ্য। 
তাই ঊষাদি যখন বেড়াতে আসতেন তখন তাঁর প্রভাবে মাকে আমার দিদি বলেই মনে হত। তাছাড়া, ছেলেবেলায় মা আমাকে শহরের মনোহরপুরস্থ জনপ্রিয় বইয়ের দোকান “বইবিচিত্রা” থেকে একবার কলকাতার শিশু সাময়িকী “ধ্রুবতারা”র পুজো সংখ্যা কিনে দিয়েছিল। তখনই খসখসে একটু মোটা নীলাভ কাগজে ছাপা প্রায় ৫০০ পৃষ্ঠার বৃহৎ ম্যাগাজিন। 
সেটাতে একটি বড় গল্প পড়েছিলাম, একজন বিখ্যাত নারী সাহিত্যিক লিখেছেন, নামটি আজ আর স্মরণে নেই। সেই গল্পে মায়াময়ী, দয়াময়ী এক দিদিকে নিয়ে কাহিনি। মা মারা যাওয়ার পর সেই দিদি কীভাবে মায়ের অপত্য স্নেহ, আদর, ভালোবাসা ও দায়িত্বসহকারে আরও ছোট তিন ভাইবোনকে মানুষ করেছিলেন বিয়েসাদি না করে---সেই গল্প পাঠ করে এতই আপ্লুত, আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম যে, অনেকদিন মাকে আমার সেই মাতৃসমা দিদি বলে মনে হত! 
বস্তুত, মা ও পুত্রসন্তানের মধ্যে একটা অদ্ভুত, অব্যাখ্যাত সম্পর্ক গড়ে ওঠে সম্ভবত জঠরে থাকতেই। ভূমিষ্ট হওয়ার পর সেই সম্পর্কটা নানাভাবে বৈচিত্র্য ও ভালোলাগার শাখা-প্রশাখায় বিকশিত হতে থাকে তারুণ্য পর্যন্ত। পিতার চেয়েও মায়ের প্রভাবটা এত বেশি কার্যকর যে, জন্মদাতা পিতাকে অগ্রাহ্য করলেও জন্মদাত্রী মাকে অগ্রাহ্য করার সাহস পুত্রসন্তানের থাকে না। যেকারণে বিয়ের পর মাতৃপ্রভাবে সহধর্মিণীর প্রতি নিরঙ্কুশ সমর্থন সম্ভব হয় না। এ এক জটিল ব্যাপার মনে হয় সব দেশে। জাপানেও পুত্রসন্তানের ওপর মাতৃপ্রভাব সাংঘাতিক বেশি। জানি না কেন? ফ্রয়ডিয় নানা ব্যাখ্যা থাকতে পারে এই ব্যাপারে, ছাত্রাবস্থায় পাঠ করেছিলাম, এখন আর মনে নেই। 
এই যে বললাম, মাতা-পুত্রের বৈচিত্র্যপূর্ণ ভালোলাগার ব্যাপারটা, এটার চমৎকার রূপ পরিগ্রহ করে থাকে শৈশব থেকে তারুণ্য পর্যন্ত মনোজগতে। মাকে আমার তারুণ্যের ঊষালগ্নে “বান্ধবী”র মতো মতে হত। সে প্রসঙ্গ আরেকদিন বলব। তার আগে ছেলেবেলায় আমার চোখে দেখা মায়ের সৌন্দর্য সম্পর্কে বলি। 
জন্মের পর সম্ভবত ৩-৪ বছর বয়সে আমার বাঁ পা’টা একটা কঠিন অসুখে আক্রান্ত হয়। আমি হাঁটতে পারতাম না। বন্ধুদের সঙ্গে দৌড়াদৌড়ি, খেলতে পারতাম না। আমাকে কোলে নিয়েই এখানে সেখানে যেতে হত মায়ের, করতে হত নানা কাজ। 
শহরের কতিপয় প্রতিথযশা চিকিৎসকের অনেক প্রচেষ্টায়ও সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। ভুগতে হয়েছে অনেকদিন। শেষ চিকিৎসা করেছিলেন ঝাউতলায় বসবাসকারী ডাঃসুরেশচন্দ্র বোস নামে একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক। তিনি ছিলেন আমার দাদু জলধর সরকারের বন্ধু। দাদুর অনুরোধে সুরেশ বোস আমার পায়ের চিকিৎসা করেছিলেন লাগাতার অনেকদিন। সেই বয়সে আমার বাঁ-পায়ে ১৮টি ইন্জেকশন দিয়েছিলেন ডাক্তারদাদু। তারপর ক্রমে ক্রমে পায়ে শক্তি ফিরে পেতে থাকি, কিন্তু পা-টা যে শুকিয়ে গিয়েছিল সেটা আর স্বাভাবিক হয়নি। পুরো পা-ই ঈষৎ ছোট হয়ে যায়। আর একটি সমস্যা দেখা দিয়েছিল, মাঝে মাঝে খিঁচুনি ধরত তখন দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ত। এখনো এটা হয়। যেকারণে যথাবয়সে স্কুলে ভর্তি হতে পারিনি। 
আমার এই অসুখের কারণে পরিবারের সকলের দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না। সবচেয়ে বেশি চিন্তা ছিল মায়ের। আমি মাঝে মাঝে গভীর রাতে টের পেতাম মা আমার বাঁ-পায়ে কোমল আঙুল দিয়ে বুলিয়ে দিত আর নীরবে কাঁদত! আমি নিঃশব্দে দেখতাম সেই দৃশ্য ঝাপসা আলোয়, মায়ের চোখে জল চিক চিক করছে, কিন্তু কিছু বলতে পারতাম না। অদ্ভুত এক অনুভূতি আচ্ছন্ন করতে আমাকে! মার খোলা কালো চুল, ফর্সা মুখ, চওড়া কপালে টকটকে লাল সিঁদুরের ফোঁটা দেখে মনে হত, দেয়ালে টাঙানো ক্যালেন্ডারে মুদ্রিত সরস্বতীদেবীর মুখের মতো অবিকল! যৌবনে মা খুব রূপসী ছিল। 
অসুখের কারণে আমি স্কুলে যেতে পারতাম না, মা-ই আমাকে পড়াতো ঘরে। স্কুলে পড়তে শুরু করেছি ৩য় শ্রেণী থেকে। পুলিশ লাইন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হেড মাস্টার সাহেব বাবাকে বলেছিলেন, আপনার ছেলে অনেক অ্যাডভান্সড পরীক্ষা করে দেখলাম, তাকে ৩য় শ্রেণীতেই নিতে চাই। ওর ভবিষ্যৎ খুব ভালো। স্কুলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মা-ই ছিল আমার শিক্ষক। পা লম্বা করে ছেড়ে দিয়ে বই খুলে মা আমাকে পড়াতো, শ্লেটে বাংলা ও ইংরেজি অক্ষর লেখাতো। আমি মায়ের কোমল বুকে লেপ্টে থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতাম। না পারলেও কখনো রাগতে দেখিনি। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার পর থেকে পড়ালেখার ব্যাপারে খুব কড়াকড়ি হয়ে উঠেছিল মা। মা না থাকলে আমার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যাওয়া হত না। 
মা খুব ভোরে উঠত। পাকের ঘরে একা একাই জলখাবারের আয়োজন করত। মাটির দুটো চুলোর একটিতে ভাত চড়িয়ে, অন্যটিতে রুটি ভাজার কাজে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়ত। সপ্তাহের ছয়দিনই এই দৃশ্য আমি দেখতাম বড়ঘরের বিছানা থেকে। বাবা স্নান করে তড়িঘড়ি ভাত, ডিম সিদ্ধ, ঘি এবং আলুর ভর্তা দিয়ে খেয়ে অফিসে চলে যেত। তারপর সারাদিন আমি আর মা। বাবাকে অফিসে পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে কোলে করে মা রান্নাঘরে নিয়ে আসত। বাবা কিছুক্ষণ আমার কপালে-গালে হাত বুলিয়ে আদর করে চলে যেত, বলে যেত, মায়ের কথা শুনবে। পুকুরের ধারে যাবে না বাবা! ঠিক আছে তো? একবার জলে পড়ে গেলে আর উঠতে পারবে না! মাকে ফিস ফিস করে বলত, চোখে চোখে রেখো। চঞ্চল তো কম না! 
হাঁটাত না পারলেও চঞ্চল ছিলাম আমি খুব, ছিলাম প্রাণবন্ত। মা আমাকে রুটি খাওয়াতো আলুর ভাজি, কোনোদিন ডিমভাজি দিয়ে নিজ হাতে। জলখাবারের পর পায়খানায় নিয়ে যেত, পরিষ্কার করে দিত। তারপর পড়তে বসতাম। সকাল ১০টা বাজলেই বাবার অফিসের পিয়ন বা কনস্টবল পুলিশ বাজার নিয়ে আসত। ছুটির দিন বাবা বাজারে যেত। মা আমাকে পড়ানোর পাশাপাশি মাছ, তরিতরকারি কাটাকুটি করে রান্নাবান্নার আয়োজনে ব্যস্ত থাকত। এভাবে দুপুর গড়াত। মা গুছিয়ে-গাছিয়ে আমাকে আগে স্নান করাতো পুকুরের জলে। যতখানি পারতাম সাঁতার কাটতাম মায়ের সহযোগিতায়। স্নান শেষ করে মা আমাকে মুছিয়ে, কাপড় পরিয়ে, কপালের ডানপাশে কাজলের ফোঁটা দিয়ে দুয়ারের কাছে বসিয়ে বলত, আমি স্নানটা সেরে আসি বাবা, তারপর একসঙ্গে খাবো। 
পুকুরে বাসি জামাকাপড় ধুয়ে সেগুলো উঠোনের তারে মেলে দিয়ে, স্নান সেরে ঘরে এসে কাপড় বদলাতো। আমি চেয়ে চেয়ে দেখতাম, কী সুন্দর মায়ের শরীরের গড়ন! ধবধবে ফর্সা। শাড়ি পাল্টে, ভেজা শাড়ি পুকুরের জলে ধুয়ে তারে যখন ছড়িয়ে দিত, আহা! কী যে সৌন্দর্য সেই দৃশ্যের! আজও চোখের সামনে ভাসে! শাড়ি, ব্লাউজ, পেটিকোট ইত্যাদি মেলে দিয়ে ঘরে এসে গামছা দিয়ে ভালো করে চুল মোছার পর, মিটসেফের ওপর রাখা হেলানো আয়নায় মুখে হালকা প্রসাধান মেখে, সিঁদুরের সোনালি কৌটো খুলে কপালের ঠিক মাঝখানে টিপ দিয়ে, ব্লাউজ পরে বলত, খিদে পেয়েছে বাবা? চলো দুজনে খেয়ে ফেলি। মা আমাকে কোলে করে রান্নাঘরে নিয়ে পিঁড়িতে বসিয়ে খাওয়ার আয়োজন করত। কোমরে আঁচল গোঁজা  মাকে এত ভালো লাগত তখন, আমি বলেই ফেলতাম, মা, ঊষা দিদির মতো লাগছে তোমাকে! মা হাসত। 
গ্রীষ্মকালের কথা খুব মনে পড়ে! মা একটু মোটাই ছিল। গরমে হাঁসফাঁস করত। তিব্বতের পাউডার পিঠে মেখে দিতে বলত। মায়ের ফর্সা চওড়া পিঠে পাউডার বুলিয়ে দিতাম। তারপর বলত, ঘামাচি মেরে দিতে। মায়ের খোলা পিঠ, খোলা বুকে সেই ছেলেবেলায় ঘামাচি খুঁজে খুঁজে মারার একটা খেলাই ছিল আমার জন্য। 
যখন একটু একটু করে বাঁ-পায়ের শক্তি ফিরে আসতে লাগল, বন্ধুদের সঙ্গে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটি, দৌড়াদৌড়ি করি, খেলাধুলা করি, পুকুরে নেমে সাঁতার কাটি---মায়ের যে কী আনন্দ চোখেমুখে দেখতে পেতাম তার ব্যাখ্যা করা দুষ্কর! বন্ধু-বান্ধবীরা আমার পায়ের কথা জানত, তাই তারাও ছিল খুব সদয় আমার প্রতি। 
গরমকালে প্রায়শ সন্ধেবেলা বড়ঘরের দুয়ারের সিঁড়িতে বসে মায়ের কোলে মাথা রেখে কিছুক্ষণ সময় কাটাতাম। তারপর পড়ালেখা। কোনো- কোনোদিন আকাশ আলো করে পূর্ণিমা চাঁদ উঠত, বড় সোনার থালার মতো। গাছগাছালিতে ফেরা পাখির কলস্বরও থেমে যেত ধীরে ধীরে। সন্ধ্যাবাতি দিয়ে মা আমাকে নিয়ে বসত। আমার অবস্থা তখন বেশ ভালোর দিকে। মায়ের স্বস্তি বাড়ছে, ভালো লাগছে বুঝতে পারতাম। 
মা খুব ভালো গান করতে পারত। দাদু ছিল সংস্কৃতিমনা। দুই মেয়ে, একজন আমার মা, অন্যজন মায়ের চেয়ে বড় আমার মাসি। তাদেরকে গান শেখানোর মাস্টার রেখে দিয়েছিল। ঘরে হারমোনিয়ম ছিল। মাসি হারমোনিয়ম বাজালেও মা বাজাতো না। গাইতে পারত, চমৎকার গলা ছিল। আমার অবস্থা ভালো হতে থাকলে মাও আবার গুন গুন করে গান গাইতে শুরু করল। 
সময়টা পঞ্চাশ-ষাটের দশক। কলকাতা ও বোম্বে একটার পর একটা হিট চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে আর উপমহাদেশে ব্যাপক আলোড়ন তুলছে। মা ছিল অসম্ভব ছবি দেখার পাগল! এই বিষয়ে অন্যত্র আমি লিখেছিও। হিট ছবির মধ্যে “হসপিটাল” ছবিটি অন্যতম। অসাধারণ জনপ্রিয় হয়েছিল। মা আমাকে নিয়ে লিবার্টি বা রূপালি হলে ছবিটি দেখেছিল। ছবির দুটি গান অসামান্য লোকপ্রিয় হয়েছিল। মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে সেই গান। বলে রাখা ভালো, “হসপিটাল” ছবির নির্মাতা ছিলেন কুমিল্লার সন্তান সুশীল মজুমদার। 
এক গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় পূর্ণিমার আলোয় সিঁড়িতে বসে মায়ের কোলে মাথা রেখে আমি মায়ের সুকণ্ঠে শুনেছিলাম হসপিটাল ছবির গান, 
“ঘুমপরি ঐ হাল ধরেছে
ময়ুরপঙ্খী নায় 
তাতে চড়ে খোকন আমার 
ঘুমের দেশে যায়.......” 
গান শুনে, মাকে দেখে একেবারে নিশ্চল হয়ে গিয়েছিলাম! ছবিতে দেখা মা যেন ঠিক সুচিত্রা সেন! সেই মায়াময় চোখ, মুখে তৃপ্তির আলোকচ্ছটা! 
সেই মাকে ছেড়ে একদিন বাতাস কেটে উড়ে চলা বাহনে চড়ে আমি বিদেশেই চলে এলাম! আমি এখনও জেগে থাকলেও, মা কিন্তু চিরকালের জন্য ঘুমের দেশে চলে গেছে! শুধু স্মৃতির আয়নায় দেখি, নির্জন দুপুরে মা স্নান সেরে ভেজা শাড়ি মেলে দিচ্ছে রোদালো উঠোনে...।

টোকিও ২৮.৭.২০২১

প্রবীর বিকাশ সরকার: জাপান প্রবাসী লেখক।