ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ৩:৫৭:৫৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

২০ মিনিট দেরি হওয়ায় স্বপ্নভঙ্গ মেহেরুনের

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৫৮ পিএম, ২০ মে ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কেন্দ্রে প্রায় ২০ মিনিট পরে পৌঁছানোর কারণে পরীক্ষা দিতে পারেননি এক শিক্ষার্থী। তার নাম মেহেরুন নেসা খাদিজা। শনিবার দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শুরু হলেও ঘড়ির কাঁটায় সময় তখন প্রায় ১২টা বেজে ২০ মিনিট। সাভার থেকে পরীক্ষা দিতে আসা মেহেরুন নেসা দায়িত্বরত এক স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে দৌঁড়াতে থাকেন ভাষা শহিদ রফিক ভবনের দিকে। দেরিতে আসার কারণে কক্ষ পরিদর্শক উক্ত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী বিভিন্ন ভবনে ঘুরে অনুমতি নেয়ার পরও পরীক্ষা না নিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন।


বিষয়টি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, সমাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, কলা অনুষদের ডিনকে জানানো হলে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় ১৫ মিনিট বাকি থাকায়, পরীক্ষা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে উক্ত শিক্ষার্থীকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের নিকট নিয়ে গেলে তিনি শিক্ষার্থীকে হয়রানির জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং অভিযোগ করলে হয়রানির সাথে যুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। তবে সময় না থাকায় তিনি পরীক্ষা নিতে না পারার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করেন।

মেহেরুন নেসা নামের ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমি সাভার থেকে অনেক সকালে রওনা দিয়েছিলাম, কিন্তু গুলিস্থানে তীব্র জ্যামের কারণে আমার পৌঁছাতে প্রায় ১২টা ২০ বেজে গিয়েছিল।

আমি পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর দায়িত্বরত পরীক্ষা পরিদর্শকরা আমার পরীক্ষা নিতে অস্বীকৃতি জানান। তখন কয়েকজন শিক্ষক এসে বলেন, তোমার পরীক্ষা নেয়া যাবে না, কারণ এটা আমাদের নিয়মের ভিতরে নেই। এই কথা বলে তারা আমাকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন।

পরবর্তীতে তারা আমাকে সেখানকার এক চেয়ারম্যান ম্যাম এর কাছে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতির জন্য পাঠান, তিনি অনুমতি দিলে তারা আমাকে খাতা দেয়, কিন্তু তারা বলে তোমার পরীক্ষার রুম তো এটা না, তাই তোমার পরীক্ষা নেয়া যাবে না। পরবর্তীতে একবার এই ভবন, আবার অন্য ভবনে ঘুরতে থাকি, পরীক্ষার সময় প্রায় শেষ পর্যায়ে যখন ১২টা ৪০ মিনিটি বাজে, তারা আমাকে বলে, আমার পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। পরবর্তীতে তারা আমার আর পরীক্ষা নেয়নি।

পরবর্তীতে পরীক্ষার্থীকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের নিকট নিয়ে গেলে তিনি বলেন, আমরা চাই না কোনো শিক্ষার্থীর সাথেই এমন হোক, কিন্তু একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। তাই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি, যেহেতু সময় শেষ হয়ে গেছে, তাই তার পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়, তবে পরীক্ষার্থী যদি লিখিত অভিযোগ প্রদান করে, তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।