ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৯:৪৬:৪১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২০ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস আজ ১৩ অক্টোবর,। ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বরাবরের মতো এবারও নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করছে সরকার। দিনটি উদযাপন উপলক্ষ্যে এবার নদীভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া এবং বেদে ও হিজড়া সম্প্রদায় পাচ্ছে সরকারের গৃহনির্মাণ সুবিধা।

দিবসটি উপলক্ষে রাস্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির প্রতিপাদ্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে। তিনি বলেন, সততা এবং দক্ষতার সঙ্গে জনগণের প্রয়োজন মেটানোই সুশাসনের ভিত্তি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনবান্ধব দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসমূলক কর্মসূচির প্রচলন করেছিলেন।

শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রচেষ্টাকে সার্থক করতে হলে দুর্যোগ মোকাবেলা বিষয়ে সবার সচেতনতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনিই প্রথম ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় ‘মুজিব কিল্লা’ নির্মাণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্বপ্রস্তুতি নিশ্চিত করার কারণে আজ প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি, সম্পদ, সম্ভাবনাকে বিবেচনায় নিয়ে প্রণীত ১০০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’-এ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেশের জনগণকে উন্নয়নের অংশীদার করে তাদের জীবনমানের উন্নতির জন্য সরকার কাজ করছে। প্রতিটি গৃহহীন মানুষকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। গ্রাম শহরের সুবিধা পৌঁছানোর লক্ষ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য সম্প্রতি ৫৭৮৫ কিলোমিটার হেরিংবোন বন্ড রাস্তা, ২৬,৩৩১টি সেতু-কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ২৩০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও ৩২০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। ৪২৩টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, ৬৪ জেলায় ৬৬টি জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র স্থাপন এবং ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি চালু করেছি। এ জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যাদের সর্বোচ্চ দুই শতাংশ জায়গা আছে কিন্তু ঘর নেই অথবা ঘর থাকলেও তা ঝুঁকিপূর্ণ, সেসব মানুষরাই এই সুবিধা পাবেন। আর যে পরিবারে পুরুষ সদস্য নেই বা ৬৫ বছরের ওপরে বয়স কর্মক্ষম নয় এমন পরিবারও এই ঘর পাবেন। আরও পাবেন যারা নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বেদে ও হিজরা সম্প্রদায়কেও।

৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে দুইটি রুম, ১টি করিডোর, ১টি বাথরুম ও ১টি রান্নাঘর থাকবে। ঘর প্রতি আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্মাণ করা দুর্যোগ সহনীয় প্রতিটি ঘরে থাকবে সোলার সিস্টেম ও বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। আশ্রয়ন, গুচ্ছগ্রাম এবং দুর্যোগ সহনীয় ঘর এই তিন প্রকল্প এর আওতায় দেশের এমন পরিস্থিতিতে থাকা মানুষদের সহায়তায় প্রায় আট লাখ গৃহহীনকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এসব ঘর মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষ্যে সকাল দশটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে উদ্বোধন করবেন। ঘরগুলো উদ্বোধনের জন্য এরইমধ্যে দেশের আট বিভাগের দায়িত্বে থাকা বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।

এর আগে, ঘরগুলো উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিতে একটি আদেশ জারি করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী তাসমীন আরা আজমিরী স্বাক্ষরিত ওই আদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন সচিবের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা দেশের আট বিভাগে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নিয়ে ঘর উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিতে।

উল্লেখ্য, এই সহায়তা দিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা অনুসরণ করে জেলা প্রশাসকেরা সুবিধাভোগীদের নির্বাচন করেছেন।

-জেডসি