ঢাকা, সোমবার ০৮, ডিসেম্বর ২০২৫ ৮:৫৭:২৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিমান ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় দেরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটকে ‘ভিভিআইপি মুভমেন্ট’ ঘোষণা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকার : প্রেস সচিব ভারতের পর্যটনরাজ্য গোয়ার নাইটক্লাবে বড় অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২৩ ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৯০০

ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে ইতিহাসের সাক্ষী ভারতের মেয়েরা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:২১ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

প্রথমবারের মত আয়োজিত নারী অনুর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। ফাইনালে ইংল্যান্ড হেরেছে ৭ উইকেটে। শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৬৮ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ডের কিশোরীরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় পায় ভারত।

বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে ভারত। যদিও ভারত টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচে পরাজিত হয় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড আগাগোড়া অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয়। শিরোপা লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিয়ে শেষ হাসি ভারতের।

রোববার পোচেফস্ট্রুমে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় দলের অধিনায়ক শেফালি। তাঁর সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, তা প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় বোলাররা।

শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। নতুন বল হাতে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দলের ব্যাটিংয়ে ধস নামালেন তিতাস। তার সুইং সামলাতেই পারলেন না ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। ৪ ওভার বল করে মাত্র ৬ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। তার স্বীকার ওপেনার লিবার্টি হিপ (০) এবং চার নম্বরে নামা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার সেরেন স্মেলকে (৩) ফেরান তিনি।

তিতাসের মতো কৃপণ না হলেও ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের অস্বস্তিতে রাখলেন অর্চনা দেবীও। তিনি আউট করলেন তিন নম্বরে নামা নিমাহ হল্যান্ড (১০) এবং ওপেনার তথা অধিনায়ক গ্রেস ক্রিভেন্সকে। ভাল বল করলেন পার্শ্ববী চোপড়াও। ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন তিনি। আউট করলেন রিয়ানা ম্যাকডোনাল্ড-গে (১৯) এবং চেরিস পাভেলিকে (২)।

ইংল্যান্ডের কেউই ব্যাট হাতে দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ম্যাকডোনাল্ড-গে। ২৪ বলে ১৯ রানের ইনিংসটি তিনি সাজালেন তিনটি চারের সাহায্যে। প্রথম ওভার থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করে ইংল্যান্ড। শুরুর চাপ তারা আর সামলাতে পারেনি। বরং ধারাবাহিক ভাবে সাজঘরে ফিরলেন ব্যাটাররা। মাত্র ৫৩ রানেই ৮ উইকেট হারাল তারা। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ৬৮ রানে।

ছোট লক্ষ্য হলেও ভারতের ইনিংসের শুরুটা ভাল হয়নি। অধিনায়ক শেফালি ভাল শুরু করলেও দ্রুত আউট হয়ে যান। ওপেন করতে নেমে শেফালি করলেন ১১ বলে ১৫ রান। তাঁর ব্যাট থেকে এল একটি করে চার এবং ছয়। আর এক ওপেনার শ্বেতা সেহরাওয়াতও ৫ রান করে আউট হন। ভারতীয় ইনিংসকে নির্ভরতা দিল তৃতীয় উইকেটে সৌম্যা তিওয়ারি এবং গোঙ্গাদি তৃষার জুটি। জয়ের লক্ষ্য বড় না থাকায় দু’জনেই ঝুঁকি না নিয়ে ব্যাট করার চেষ্টা করলেন। ২০ রানে ভারত ২ উইকেট হারানোর পর সৌম্যা-গোঙ্গাদির জুটিতে ধীরে ধীরে জয়ের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে ভারত।

প্রথম ১০ ওভারে ৪৮ রান তোলে ভারত। পরের ১০ ওভারের জন্য ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১ রান। লড়াই করার মতো রান তুলতে না পারলেও ইংল্যান্ড দল ছিল কিছুটা রক্ষণাত্মক। তাতেও সুফল মেলেনি। গোঙ্গাদি ২৪ রান করে যখন সাজঘরে ফিরলেন, তখন ভারত জয় থেকে মাত্র ৩ রান দূরে। তিনি করলেন ২৯ বলে ২৪ রান। তার ইনিংসে ছিল তিনটি বাউন্ডারি। শেষ পর্যন্ত সৌম্য়া অপরাজিত থাকলেন ২৪ রান করে। তাঁর ৩৭ বলে ইনিংসটি সাজানো তিনটি চারের সাহায্যে। শেষ পর্যন্ত সৌম্যার সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন হৃষিতা বসু (০)।

ইংল্যান্ডের হয়ে অ্যালেক্সা স্টোনহাউ
স ৮ রানে ১ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন হান্না বেকার এবং গ্রেস স্ক্রিভান্স। অপরদিকে ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট পান শেফালি বর্মা, সোনম যাদব এবং মন্নত কাশ্যপরা। অনবদ্য বল করার জন্য ম্যাচের সেরা তিতাস।