ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০২, মে ২০২৪ ১৬:৫৮:৪৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সবজির বাজারে স্বস্তি নেই যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি ভারী বর্ষণে মহাসড়কে ধস, চীনে ২৪ প্রাণহানি রাজবাড়ীতে ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ এভারকেয়ারের সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া মহান মে দিবসে মেহনতি মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা মদিনায় ভারি বৃষ্টিতে বন্যা, রেড অ্যালার্ট জারি

ঢেঁপা নদীর তীরে কান্তজীর মন্দির দেখে আসুন

ময়নামতি খানম | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:১০ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার

কান্তজীর মন্দির

কান্তজীর মন্দির

কান্তজীর মন্দির; দিনাজপুর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে কান্তনগর গ্রামে ঢেঁপা নদীর তীরে অবস্থিত। এই মন্দির ১৮ শতকে নির্মিত। কান্তজীউ মন্দির, কান্তনগর মন্দির বা নবরত্ন মন্দির নামেও এর পরিচয় রয়েছে। 

মন্দিরটির নবরত্ন বা ‘নয় শিখর’ ছিল। কিন্তু ১৮৯৭ সালে  একটি ভূমিকম্পে সবগুলোই ধ্বংস হয়ে যায় । এ মন্দিরে বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট টেরাকোটা শিল্পের নিদর্শন রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনীসমূহ পোড়ামাটির অলঙ্করণে দেয়ালের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

বিবরণ: মন্দিরে উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে তৎকালীন মহারাজা জমিদার প্রাণনাথ রায় এই মন্দিরের নির্মাণ শুরু করেন। পরবর্তীকালে ১৭২২ সালে প্রাণনাথ রায়ের মৃত্যুর পর তার পোষ্যপুত্র মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ সালে মন্দিরের নির্মাণ শেষ করেন। তখন কান্তজীর মন্দিরটি ৭০ ফুট উঁচু ছিলো কিন্তু ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মন্দিরটির বেশ ক্ষতি হয়। বর্তমানে এর উচ্চতা ৫০ ফুট। 

বর্গাকার এই মন্দিরের বাইরের দেয়ালজুড়ে প্রায় ১৫,০০০ টেরাকোটা টালি বা পোড়ামাটির ফলকে লিপিবদ্ধ আছে মহাভারত, রামায়ণ এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনি। 

তিন ধাপ বিশিষ্ট এই মন্দিরের চারদিক থেকে ভেতরের দেবমূর্তি দেখা যায়। প্রথম তলার সকল প্রবেশপথে বহু খাঁজযুক্ত খিলান দেখতে পাওয়া যায়, আবার দুটো ইটের স্তম্ভ পর পর স্থাপন করে খিলানগুলোকে পৃথক করা হয়েছে। স্তম্ভগুলো দেখতে চমৎকার এবং অলংকরণযুক্ত। 

মন্দিরের প্রথম তলায় ২১ টি, দ্বিতীয় তলায় ২৭ টি এবং তৃতীয় তলায় ৩ টি দরজা-খিলান রয়েছে। কান্তজীর মন্দিরের পশ্চিম দিকে বারান্দা থেকে উপরে যাবার সিঁড়ি আছে।

যাতায়াত: ঢাকা থেকে বাস এবং ট্রেনে দিনাজপুর যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সাধারণত ঢাকার গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে দিনাজপুরগামী বাসগুলো ছেড়ে যায়। এছাড়াও  ঢাকা থেকে বাস কিংবা ট্রেনে করে দিনাজপুর যাওয়া যায়। ঢাকার গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে দিনাজপুরগামী বাসগুলি ছেড়ে যায়। বাস সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে নাবিল পরিবহন, এস আর ট্রাভেলস, এস এ পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ,কেয়া পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন ইত্যাদি। এছাড়া রাজধানীর উত্তরা থেকে বেশকিছু বাস দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়। অন্য আন্তঃনগর ট্রেন একতা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে। একতা এবং দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন যথাক্রমে মঙ্গল ও বুধবার বন্ধ থাকে।

দিনাজপুর থেকে অটোরিক্সা বা সিএনজি ভাড়া করে সহজেই কান্তজীর মন্দির দেখতে যেতে পারবেন।

রাত্রিযাপন: দিনাজপুর শহরে ভাল মানের হোটেলে থাকতে চাইলে পর্যটন মোটেলে থাকা যাবে। সাধারণ মানের আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল ডায়মন্ড, নিউ হোটেল, হোটেল আল রশিদ, হোটেল রেহানা, হোটেল নবীন, ইত্যাদি। এছাড়া রামসাগরে অবস্থিত স্থানীয় বন বিভাগের বাংলোতে অনুমতি নিয়ে থাকতে পারেন।

খাওয়া-দাওয়া: দিনাজপুরে রুস্তম, ফাইভ স্টার, দিলশাদ হোটেলে গরুর ভুনা মাংস, কাঠি কাবাব ইত্যাদি খেয়ে দেখতে পারেন। এছাড়া দিলশাদ রেস্তোরাঁর পাটিসাপটার বেশ সুনাম রয়েছে। এছাড়া পুলাহাট বিসিক এলাকায় আবুল হোটেলে ভাত, গরু কিংবা মুরগির মাংস, ডাল আর সবজি খেতে পারেন।