ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ২২:৫৪:১১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর বান্ধবী নেহা রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৪৪ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শুক্রবার

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বিষাক্ত মদ পান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ‘মাস্টারমাইন্ড’ বান্ধবী ফারজানা জামান নেহার (২৩) পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার এ আদেশ দেন।

এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক। অপরদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করা হয়। 

রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ আদালতে আসামির রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘‌আসামি নেহা ওই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। তার ডাকে সাড়া দিয়ে অপর আসামিরা ভিকটিমকে নিয়ে ডিজে পার্টিতে যায়। সেখানে ভিকটিমকে বিষাক্ত মদ পান করানো হয়। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। পরবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমের মৃত্যু হয়। বিষাক্ত মদ পান করানোর ফলেই অপার সম্ভাবনাময় ভিকটিমের মৃত্যু হয়। ’

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে রিমান্ডের ওই আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার রাতে নেহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার মামলার আসামি সাফায়েত জামিল আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরও আগে গত ৩১ জানুয়ারি ওই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও নুহাত আলম তাফসীরের (২১) পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৮ জানুয়ারি বিকাল ৪টার দিকে মর্তুজা রায়হান ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে মিরপুর থেকে স্কুটার করে লালমাটিয়ায় আরাফাতের বাসায় নিয়ে যান। পরে আরাফাত, ওই শিক্ষার্থী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের ‘বাম্বুসুট রেস্টেুরেন্টে’ যান। সেখানে আসামি নেহা, শাফায়েত জামিলসহ (২২) আসামিরা মদ পান করেন এবং ভিকটিমকে মদ পান করান। 
একপর্যায়ে ভিকটিম অসুস্থবোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে রায়হান ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর রাতে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেয়। অসিম পরদিন এসে ভিকটিমকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ভিকটিম মারা যান।