ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ২০:০৫:৫২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

পরিবার নিয়ে দেখার মতো চলচ্চিত্র তৈরি করুন: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০৯ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশের সিনেমা শিল্পের সুদিন ফিরিয়ে আনার জন্য এক হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের এই শিল্পটা নষ্ট হয়ে যাক তা কখনোই চাই না। মানুষ সবসময়ই সিনেমা দেখে। ঘরে হোক বা সিনেমা হলে। তবে এখন হলে গিয়ে মানুষ সিনেমা তেমন দেখছে না। এজন্য ভালোমানের সিনেমা নির্মাণ করতে হবে, যেগুলো পরিবার পরিজন নিয়ে দেখা যায়। তাহলেই মানুষ আবার হলমুখী হবে।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দেন। করোনার কারণে এবারের আসরে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। এবার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

ভিডিও কনফারেন্সের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিনেমা শিল্প যেন সারা দেশের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যায়, স্থানীয় মানুষ যেন বিনোদনের সুযোগ পায়, সেই চিন্তা থেকেই আমরা এই এক হাজার কোটি টাকার ফান্ড করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই ফান্ড থেকে সিনেপ্লেক্স ও অন্যান্য হল মালিকরা স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে আধুনিক সিনেমা হল নির্মাণ করতে পারবেন। এছাড়া পুরনো হলগুলোকেও আধুনিকায়ন করতে পারবেন। ইতিমধ্যে আমরা সিনেমা আর্কাইভ ভবন তৈরি করে আমাদের পুরনো সিনেমাগুলোকে নতুনভাবে নিয়ে আসার পদক্ষেপও নিয়েছি।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের যে ঐতিহ্যগুলো আছে সেগুলোকে রক্ষা করতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পুরনো সিনেমাগুলোকে পুনরুদ্ধার করার জন্য আমরা ফিল্ম আর্কাইভ ভবন তৈরি করেছি। আমরা চাচ্ছি, আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক। তবে এক্ষেত্রে ট্রেনিংটা খুব দরকারি। এজন্য ইতিমধ্যে আমরা ট্রেনিং ইনস্টিটিউটও করে দিয়েছি। আমাদের শিল্পীরা সেখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে আন্তর্জাতিকমানের উন্নত ফিল্ম তৈরি করতে পারেন।

দেশে বিনোদনের ক্ষেত্রেও ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে মাত্র একটা টিভি চ্যানেল ছিল, বিটিভি। আমরা সরকারে এসে সেটা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। উদ্দেশ্য হলো, একদিকে যেমন আমাদের শিল্পীদের সুযোগ সৃষ্টি করা, অপরদিকে কলাকুশলী থেকে যারা আছেন তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু একটা টেলিভিশনে কতটুকু আর সুযোগ পাওয়া যায়। সে কারণে আমরা বেসরকারি খাতে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল রেডিও, কমিউনিটি রেডিও, এফএম রেডিও চালু করে দিয়েছি। আমরা স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপন করেছি। সরাসরি সেই স্যাটেলাইট ব্যবহার করে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো চলতে পারছে। এভাবে আমরা প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই আধুনিক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করতে চাচ্ছি।

বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু- এই দুটি ঘটনার ইতিহাসকেই নানা সময়ে বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। সিনেমার মাধ্যমে তিনি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর সঠিক ইতিহাস সারা বিশ্বে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য তাদের নিয়ে সিনেমা নির্মাণেরও তাগিদ দিয়ে  দেশনেত্রী বলেন, আমি একজন রাজনীতিবিদ বক্তৃতা দিয়ে মানুষকে যত কথাই বলি না কেন, তার চেয়ে একটা নাটক, সিনেমা, গান বা কবিতার মধ্য দিয়ে অনেক কথা বলা যায়। মানুষের অন্তরে প্রবেশ করা যায়। কাজেই, শিল্পের একটা আবেদন সবসময়ই রয়েছে।

শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে এবারের আয়োজনে উপস্থিত থাকতে না পারার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি। কারণ, এফডিসি আমার বাবার হাতে গড়া। সিনেমা তৈরি করার যে উৎসাহ, সেটা বঙ্গবন্ধুই দিয়েছিলেন। সে দিকটা মাথায় রেখেই আমি সবসময় কাজ করার চেষ্টা করি।

করোনার প্রাদুর্ভাব কম থাকলে আগামী বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি এ বছর যারা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন, তাদের সবাই ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানান বঙ্গবন্ধু-কন্যা।

এই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য সচিব খাজা মিয়াসহ চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নবীন-প্রবীণ শিল্পী-অভিনেতা ও নির্মাতারা।


-জেডসি