ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ৯:৫৫:১২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

পাপিয়ার মোবাইল ফোন যেনো অশ্লীল ভিডিওর মিউজিয়াম!

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর অপরাধ সাম্রাজ্যের রাণী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ। তার মোবাইল ফোন যেনো অশ্লীল ভিডিওর মিউজিয়াম। সেখানে রাতের আড্ডার অপকর্মের ভিডিও। বিভিন্ন হোটেলে নাচাগানার আসরের ভিডিও। এসব ভিডিওতে সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গে উঠতি শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ছাড়াও আমলা এবং কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার মনোরঞ্জনের বিশেষ মুহূর্তের অশ্লীল ছবি। এরই মধ্যে কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, অভিজাত হোটেলে সুন্দরী সরবরাহ, তরুণীদের দিয়ে প্রভাবশালীদের ব্লাকমেইল এসব করেই উত্থান তার। মাদক ব্যবসা, ক্যাসিনো, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা, চাকরি দেয়ার নাম করে প্রতারণা সবেই করতেন এই দোর্দণ্ড প্রতাপশালী নেত্রী। আমলা, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সুন্দরী তরুণীদের নিয়ে হোটেলে মনোরঞ্জনের বিশেষ মুহূর্ত তাদের অজান্তেই ভিডিও করে রাখতেন পাপিয়া। তার মোবাইল ফোন ঘেটে এগুলো পাওয়া গেছে।পাপিয়ার অপরাধের সাক্ষী তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, যা এখন আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে।

তিনি আরো জানান, রাজধানীতে নারীদের নিয়ে ‘বাণিজ্য’ করতেন পাপিয়া। রাজধানীর অভিজাত হোটেলগুলোয় মাঝেমধ্যেই ‘ককটেল পার্টি’র আয়োজন করতেন। এসব পার্টিতে উপস্থিত হতেন সমাজের উচ্চস্তরের লোকজন। মদের পাশাপাশি পার্টিতে উপস্থিত থাকত উঠতি বয়সী সুন্দরী তরুণীরা। পরে মদের নেশায় টালমাটাল আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কৌশলে ধারণ করা হতো ওই তরুণীদের অশ্লীল ভিডিও। পরে ওইসব ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করতেন পাপিয়া। বনিবনা না হলেই ফেসবুকে ছড়িয়েও দেয়া হতো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই পাপিয়ার কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মাথা ঘুরিয়ে দেয়া খবর। পাপিয়ার অপকর্মের সঙ্গীদের ধরতে এরই মধ্যে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান চলছে।

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের মূল ব্যবসা ছিল উঠতি শিল্পপতি-ব্যবসায়ীসহ সমাজের উঁচুস্তরের লোকদের ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা বলেছেন, নরসিংদী ও ঢাকার অনেক তরুণীকে চাকরির নামে তারকা হোটেলে ডেকে পার্টি গার্ল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এছাড়া ফেসবুকে প্রকাশ্যে যৌন ব্যবসার গ্রুপ ‘এসকর্ট’ থেকেও সুন্দরীদের সংগ্রহ করতেন পাপিয়া। পরে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অনেককে শয্যাসঙ্গী করতে বাধ্য করতেন। এসব কুকর্মের বেশকিছু ভিডিও এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।

কী আছে এসব ভিডিও ক্লিপে? এমন প্রশ্নে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেছেন, পাপিয়ার মোবাইল ফোন অশ্লীল ভিডিওতে ঠাসা। অশ্লীল ভিডিও তুলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন পাপিয়া। লজ্জায় কেউ মুখ খুলত না। এসব ভিডিওতে থাকা ৭ জন উঠতি বয়সী তরুণীর সঙ্গে র‌্যাবের কথা হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, টিপসের বাইরে এসব তরুণীকে মাসে ৩০ হাজার টাকা করে দিতেন পাপিয়া। এসব তরুণীকে আইনের আওতায় আনা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের অপরাধের বিষয়টিও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এসব তরুণী যদি ব্ল্যাকমেইলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তবে তাদেরও আইনের মুখোমুখি করা হবে।

-জেডসি