ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:৩১:৩৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

ভারতের কাছে টাইগ্রেসদের হার

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ৯ জুলাই ২০২৩ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সবশেষ ২০১২ সালে মিরপুর স্টেডিয়ামে খেলেছিল বাংলাদেশ নারী দল। এরপর ক্যালেন্ডারের পাতায় কেটে গেছে ১১ টা বছর। অবশেষে হোম অব ক্রিকেটে খেলার সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে টাইগ্রেসদের। কিন্তু ফেরার ম্যাচটি জয়ে রাঙাতে পারলেন না তারা। শক্তিশালী ভারতের মেয়েদের কাছে ৭ উইকেটে হার মানলো নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৪ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ দল। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ভারতকে শুরুতে কিছুটা চাপে ফেললেও সহজ দুটি ক্যাচ মিস করেছে টাইগ্রেসরা। ফলে ১৬.২ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় সফরকারীরা

রোববার (৯ জুলাই) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া ১১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই শেফালি ভার্মার উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। মারুফা আক্তারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। ফলে ৩ বল খেলে শূন্যতেই সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।

এরপর ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে জেমিমাহ রদ্রিগেজকে ফেরান সুলতানা খাতুন। বিদায়ের আগে ১৪ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১১ রান করেন ওয়ান ডাউনে নামা এই ব্যাটার। পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট তুলে নিয়ে সফরকারীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল বাংলাদেশ।


তবে তৃতীয় উইকেটে স্মৃতি মান্ধানা ও অধিনায়ক হারমানপ্রীত কর চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। তারা দুজনে মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। মাঝে সুলতানা খাতুন বোলিং প্রান্তে সহজ ক্যাচ মিস করলে বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে। এই বোলার পরে যদিও স্মৃতির উইকেট তুলে নেন।

তবে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২২ বল বাকি থাকতেই দলের জয় নিশ্চিত করেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত। এই ব্যাটার ৩৫ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন। স্মৃতি মান্ধানা করেন ৩৪ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩৮ রান। আরেক অপরাজিত ব্যাটার ইয়াস্তিকা ভাটিয়া ৯ রান করেন।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। উদ্বোধনি জুটিতে সাথি রানিও শামীমা সুলতানা ২৭ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে বিদায় নেন শামীমা। বিদায়ের আগে ১৩ বলে ১৭ রান করেন এই ওপেনার। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সোবহানা মোশতারিকে নিয়ে সাথি দলকে এগিয়ে নিয়ে যান।

তাদের জুটিতে অষ্টম ওভারে দলের সংগ্রহ পঞ্চাশও ছাড়িয়ে যায়। তবে পূজা ভাস্ট্রেকরের বলে বোল্ড হয়ে যান সাথি। সাজঘরে ফেরার আগে ২৬ বলে ২২ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে থিতু হতে পারেননি নিগার সুলতানা জ্যোতিও। সতীর্থ সোবহানার সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে মাত্র ২ রান করেই রানআউট হয়ে যান টাইগ্রেস অধিনায়ক।

জ্যোতির বিদায়ের পর রানের গতিও কমে যায়। ফলে বড় সংগ্রহের যে আশা নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল টাইগ্রেসরা, তা মাটির সাথে মিশিয়ে যায়। ওয়ান ডাউনে নামা সোবহানা ধীরগতিতে ৩৩ বলে ২ বাউন্ডারিতে মাত্র ২৩ রান করেন। শেষ দিকে স্বর্ণা আক্তারের ২ ছক্কা অপরাজিত ২৮ ও রিতু মনির ১১ রানে ভর করে নির্ধারিত সময়ে টাইগ্রেসদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১১৪ রান।