ঢাকা, শুক্রবার ১২, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:০৯:৫৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ সাজিদের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল, দাফন সম্পন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা ছবি নামিয়ে ফেলায় অপমানিত বোধ করেছি: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন উপদেষ্টা পরিষদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন সচিবালয় থেকে ৪ জনকে নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার

ভোলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২৬ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ভোলার ৭ উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হাজার ৫’শ ৫০ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে। 

জানা গেছে,  সয়াবিন তেলের উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি করার সরকারের বিশেষ উদ্যোগে জেলায় সরিষার আবাদ বাড়িয়েছে। জেলায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে ১০ হাজার ২’শ কৃষককে বিনামূল্যে বীজ-সার প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ সেবা দেয়া হচ্ছে। 

এ  জেলায় এবছর ৬ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে ৮ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। যা থেকে ৭ হাজার ৮’শ মেট্রিকটন সরিষা উৎপাদনের প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের। তাই দেখা যায় বিভিন্ন বিস্তৃত প্রান্তর হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। 

কৃষকরা জানায়, জেলায় সাধারণত বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৬, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা সরিষা-৯, বিনা সরিষা-৪ জাতের আবাদ বেশি করা হয়। আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি সময়ে চাষ হওয়া সরিষা জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। সরিষার পাতা থেকে সৃষ্ট জৈব সার ধানের পুষ্টি জোগান দেয়। বীজ রোপণের  পর থেকে সর্বোচ্চ ৮০-৯০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়। প্রথম দিকে আগাছা পরিস্কারের কাজ ছাড়া তেমন পরিশ্রমও হয়না সরিষা চাষে। তাই স্বল্প সময়ে চাষ সম্ভব বলে অনেক চাষিই সরিষা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের কৃষক ফরিদ হোসেন বলেন, সরিষা চাষে বিঘা প্রতি ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। আর প্রতি বিঘা জমিতে সরিষার ফলন আসে ৬-৭ মণ। যার বাজার মূল্য ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সে হিসোব কৃষকের বিঘাপ্রতি ৯ থেকে ১১ হাজার টাকা লাভ হয়। 

অপর কৃষক জাহাঙ্গির হোসেন ও মোস্তাফিজ রহমান বলেন, যে জমিতে সরিষার আবাদ হয়, সেখানে ধান ভালো হয়। এছাড়া সরিষার গাছ শুকালে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায়। তাই এটি একটি লাভজনক ফসল।

কৃষি অফিস জানায়, জেলার মোট আবাদকৃত সরিষার জমির মধ্যে সদর উপজেলায় আবাদ হয়েছে ১২’শ ২০ হেক্টর, দৌলতখানে ৫’শ ৯০ হেক্টর, বোরহানউদ্দিনে ৬’শ ৬০ হেক্টর, লালমোহনে ১৫’শ ৫৭ হেক্টর, তজুমদ্দিনে ১২’শ ৮০ হেক্টর, চরফ্যাশনে ২৫’শ ৬৩ ও মনপুরায় উপজেলায় ১’শ ৮০ হেক্টরসহ মোট ৮ হাজার ৫০ হেক্টর সরিষার আবাদ হয়েছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: হাসান ওয়ারিসুল কবীর বাসস’কে জানান, জেলায় সরিষার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে ১০ হাজার ২’শ কৃষককে। প্রত্যেককে এক কেজি বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে।  নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সরিষা রোপণ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলবে। 

তিনি আরো জানান, আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিসাররা চাষিদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের কথা জানান তিনি।