ঢাকা, সোমবার ০৮, ডিসেম্বর ২০২৫ ৮:৫৭:২০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিমান ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় দেরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটকে ‘ভিভিআইপি মুভমেন্ট’ ঘোষণা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকার : প্রেস সচিব ভারতের পর্যটনরাজ্য গোয়ার নাইটক্লাবে বড় অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২৩ ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৯০০

মাছ-মাংসের দাম বাড়তি, সবজিতেও অস্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৮ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

গরু-খাসিসহ মুরগির দাম অত্যধিক বাড়ায় স্বল্প আয়ের মানুষ এখন আর মাংসের বাজারে পা রাখছেন না। অপরদিকে তেতে আছে মাছের বাজার। সস্তার পাঙাশ কিংবা তেলাপিয়া কেনাও এখন অনেকের পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবজির দামেও এখন নাভিশ্বাস। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।

আজ রাজধানীর কোনো কোনো বাজারে রুইয়ের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৫০, পাঙাশ ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাছাকাছি দামে বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়াও। একইভাবে অন্যান্য মাছের দামও কিছুটা বাড়তি রয়েছে। এ দিন প্রতিকেজি পাবদা ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের কই ৩০০, শিং ৪২০ থেকে ৪৫০, শোল ৬০০ থেকে ৭০০, মলা ৪০০ থেকে ৪৫০, বাগদা চিংড়ি ৭০০ ও গলদা প্রতিকেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ইলিশ প্রকারভেদে ৭০০ থেকে ১৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আগের মতোই ব্রয়লারের কেজি ২১০ টাকা, সোনালি ৩৫০ থেকে ৩৭০ এবং লেয়ার মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দামে এখনো আগুন। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসি ১১০০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মাছ-মাংসের বাজারে এই যখন অবস্থা তখন তরকারিতেই অনেকের ভরসা। কিন্তু সেটাও কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। কারণ বাজারে বেশির ভাগ সবজির দামই চড়া। রাজধানীর বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৭০ টাকা, বরবটি ও পটল ৮০, করলা ৮০ থেকে ১০০, ঢেঁড়স ৭০ থেকে ৮০, শিম ১০০ থেকে ১২০, টমেটো ৪৫ থেকে ৫০, শসা ৫০, কাঁচামরিচ ১২০, আলু ২৫ এবং পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে।

রাজধানীতে সবজি সরবরাহকারী কারওয়ান বাজারের পাইকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিয়াদ এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী বলরাম চন্দ্র বলেন, শীতের সবজি ফুরিয়ে গেলে দাম বেড়ে যায়। বছরে এ সময় দাম বাড়তি থাকে। ক্ষেতে খরচ বাড়ার পাশাপাশি পরিবহনে খরচ বেড়েছে। সবমিলিয়ে এবার দাম একটু চড়া রয়েছে।

মালিবাগ বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাকিব মোল্লা বলেন, সামান্য আয়ের টাকায় নিত্যপণ্য কিনতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে একটু যে মাছ, মাংস খাব তার উপায় নেই। এগুলো আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। ভরসা ছিল শাক-সবজি। সেটা কেনাও এখন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই আঁটি শাক কিনতেও খরচ হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বাজারের এমন পরিস্থিতিতে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়েছে।