ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ৫:১৫:৪৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

মাস্ক ছাড়া জনসমাগমে যাবেন না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০২ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২০ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আবারো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘লোকসমাগম হয় এমন স্থানে কেউ মাস্ক ছাড়া যাবেন না। সবাইকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার মাধ্যমে ব্যস্ত থাকতে হবে। যাতে বিদ্যালয় খুললে সবাই যথাযথভাবে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করতে পারে।’ অভিভাবকদের এ বিষয়ে যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স, ঢাকা, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণ এবং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট্ট রাসেল কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাবা কারাগারে। আমাদের সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে গিয়ে ও আব্বাকে বাড়ি চলো বাড়ি চলো বলে কান্নাকাটি করতো। আব্বার সঙ্গে দেখা করে ফিরে আসার দিনটি রাসেলের খুব কষ্টে কাটতো। সারাটা দিন ওর চোখে পানি থাকত।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘এরপর এলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হলো। আমার মাসহ পরিবারের সবার সঙ্গে ছোট্ট রাসেলও বন্দী ছিল। সেই বন্দীদশা থেকে এক সময় কামাল-জামাল চলে গেল যুদ্ধে। এ অবস্থায় সব সময় রাসেলের চোখে পানি থাকতো। কিন্তু সে দুঃখ আড়াল করতো। তার সেই নীরব কান্না কখনো প্রকাশ করতো না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবসময় বাবাকে হারানোর ভয়ে থাকতো রাসেল। আব্বা বাসায় থাকলে খেলাধুলার ফাকে একটু পর পর সে আব্বাকে দেখে যেত। বাবার পাশে সে ছায়ার মতো ঘুরে বেড়াতো। এভাবেই সে বড় হয়েছে। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর বাবাকে সে কাছে পেয়েছিল। তারপর তো সবই শেষ।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘রাসেলের স্বপ্ন ছিল সে সেনাবাহিনীর অফিসার হবে। গ্রামে গেলে বাচ্চাদের সে প্যারেড করাতো। রাসেলের ইচ্ছায় শিশুদের কাপড় দিতে হতো। ওর মনটা ছিল খুব উদার।’

প্রধানমন্ত্রী এসময় বলেন, ‘শিশুদের দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতেই শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ গঠন করা হয়।’

রাসেলের স্মৃতি ধরে রাখার উদ্যোগ নেয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ রাসেলের ‘ম্যুরাল’ উন্মোচন ও ‘শহীদ শেখ রাসেল ভবন’ উদ্বোধন করেন।

এছাড়া শহীদ শেখ রাসেল- এনিমেটেড ডকুমেন্টরি ‘বুবুর দেশ’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

এছাড়া শেখ রাসেলের জীবনীর ওপর প্রকাশিত বই ‘শেখ রাসেল আমাদের আবেগ, আমাদের ভালোবাসা’র মোড়ক উন্মোচন ও ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তিনি।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের কার্যক্রমসংক্রান্ত ভিডিওচিত্র অবলোকন ‘স্মৃতির পাতায় শেখ রাসেল’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণ, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান এবং দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণসহ অন্যান্য কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

-জেডসি