ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:১৮:০৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

রাস্তার মোড়ে মােড়ে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১২ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শীতের আগমনী বার্তার  সাথে সাথে বগুড়ার পাড়া -মহল্লা ও রাস্তার  মোড়ে মোড়ে  শীতের  পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। আগে শীত এলেই বাড়ি বাড়ি গৃহবধুরা পিঠা বানাতে বসতেন। উনুনের পাশে বসে বাড়ির সদস্য পিঠার মজা নিতেন। এখন দিন পাল্টেছে।  এখন আর বাড়িতে কষ্ট করে পিঠা তৈরি করতে চায় না । এখন স্বল্প আয়ের নারী-পুরুষ মৌসুমী পিঠা বিক্রেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। শীত মৌসুমে হাত বাড়ালে যখন দোকান অথবা রাস্তার মোড়ে পিঠা কিনতে পাওয়া যায় তখন আর কষ্ট করে কি লাভ।
বগুড়ায় শহর এমনকি উপজেলায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে  শুরু হয়েছে পিঠা বিক্রির ধুম। বেলা গড়িয়ে বিকেল হতেই বাড়ির কাজ সেরে  স্বল্প আয়ের পরিবারের মেয়েরা  রাস্তার মোড়ে  উনুনে আগুন দিয়ে  পিঠা তৈরি শুরু করে।যতই বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেথাকে ততেই পিঠা বিক্রি বাড়তে থাকে। তবে শীত জোঁকে বসলে পিঠা বিক্রি আরো বাড়বে এমনটি আশা শহরের অভিজাত এলাকা জলেশ্বরীতলার পিঠা বিক্রেতা মমতাজ বেগমের। প্রায় ৫ বছর ধরে রাস্তার মোড়ে শীতমৌসুমে পিঠা বিক্রি করে আসছেন। তিনি জানালেন শীত বেশি হলে পিঠা কেনার জন্য লম্বা লাইন পড়ে যায়। অনেকে হটপট রেখে যায়। তখন দম ফেলার সময় পান না পিঠা বিক্রোতারা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হয়ে থাকে চিতই পিঠা , ভাপা পিঠা ,কুশলী পিঠা,পাটি সাপটা পিঠা । চিতই পিঠা কিনে বাড়ি দুধে চুবিয়ে দুধ পিঠারস্বাদ নিয়ে থাকে অভিজাত ঘরেরমানুষরা।
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত যতই বাড়তেথাকে ততোই শহরের সাতমাথা, ইয়াকুবিয় স্কুল  মোড়, জলেশ্বরীতলা, মাটিডালী, বিসিক, ফুলবাড়ী কলেজ এলাকা, কালীতলা বাজার, মালতীনগর, চেলোপাড়াা, বকশীবাজার, বউ বাজার, নাটাইপাড়া, সাবগ্রাম, ঠনঠনিয়া ,রহমান নগর ,বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসব পিঠার দোকানগুলো সরব হয়ে ওঠে।
 বগুড়া শহরের খান্দার এলাকায় পিঠার দোকানদার মেঃ ইদ্রিস ব্যাপারী। ৭০ বছর বয়সী এ পিঠার দোকানী প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন । শীত বাড়লে আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। তবে আগের বছরের তুলনায় এ বছর পিঠা তৈরির উকরণের দামবেশি হওয়ায়  সীমিত লাভে পিঠা বিক্রি করতে হয় বলে জানান তিনি। তবে আয় মন্দ হয়না।সারা দিন বাড়িরকাজ বা পুরুষদের অন্য কাজ শেষে এসব মৌসুমী পিঠার দোকানীরা এমন আয় মন্দ কিসের।বাড়তি আয় সংসারে কিছুটা হলে সংসার চালতে সহায়তা করে।
বগুড়ার স্টেডিয়ামের সামনে তিনি বিগত ২৫ বছর ধরে এ জায়গায় শীতে ছাত্তার তার সহধর্মিণীকে নিয়ে পিঠার দোকান করে আসছেন।শীত মৌসুমে তাদের বাড়তিআয় অনেক সহায়তা করে।
পিঠার দোকানদার মোঃ ইদ্রিস ব্যাপারী  জানান, এখনও শীত এখন তেমন পড়েনি তারপরেও বিকেল ৪ টা থেকে দোকান দিয়ে রাত ১১ পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করে সংসার বেশ ভালই যাচ্ছে। মানুষের ভিড় বাড়ছে তাই দুইজন কর্মচারীও রেখেছি।
তিনি বলেন,  ভাপা পিঠা , চিতই পিঠা ,মিষ্টি তেল পিঠা ও ডিমের ঝাল পিঠার চাহিদা বেশি। পিঠার উপকরণের দাম বাড়লেও তারা এ মৌসুমে বেশ ভাে লা বিক্রি করে থাকেন।পিঠা খেতে এসে ওয়াহাব হোসেন জানান, শীতের সময় গরম গরম পিঠা খেতে খুব মজার, মাঝে মধ্যেই সময় পেলে বন্ধুদের নিয়ে ছুটে   আসি। গৃহবধু  তাবাসসুম জানান, এসব পিঠা বাসায় বানানো খুব ঝক্কি ঝামেলার। এখানে পরিবারের সবাই এক সাথে এসে গরম গরম তৈরি করে প্লেটে করে দিচ্ছে তাই সময় পেলেই চলে আসি খেতে। স্বল্প দামে এখানে খুব মজার মজার পিঠা পাওয়া যায়।