ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:২১:৪৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

শেষ মুহূর্তের গোলে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ল সাবিনারা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২৩ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এরপর প্রায় ১০ মাস মাঠের বাইরে ছিলেন ফুটবলাররা। অবশেষে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রত্যাবর্তন করল বাংলাদেশ। তবে ঘরের মাঠে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে বসল স্বাগতিকরা। এতে ফেরার ম্যাচ জয়ে রাঙাতে পারল না সাবিনা খাতুন-সানজিদা খাতুনরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমার্ধ গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয়। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। এই গোলে জয়ের পথেই এগিয়ে যাচ্ছিল স্বাগতিকরা। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারীর গোলে শেষ পর্যন্ত ১-১ এর ড্রয়ে বাংলাদেশের জয়ভঙ্গ হয়।

এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে অনেকটা অচেনা ফুটবল খেলে স্বাগতিকরা। সাবিনাদের খেলা দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে এই বাংলাদেশই সাফের ফাইনালে দাপট দেখিয়ে নেপালকে হারিয়েছিল। মূলত অনেকদিন পর ম্যাচ খেলতে নামায় বাংলাদেশ দলের ধারাবাহিক ছন্দে ব্যাঘাত ঘটেছে। ফলে প্রথমার্ধে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য আক্রমণ করতে পারেনি উভয় দল।

বাংলাদেশ বল দখলে এগিয়ে থাকলেও নেপালের গোলকিপার বিমলা বিকেকে পরাস্ত করতে পারেনি। ম্যাচের ১৬ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বাংলাদেশ। শিউলি আজিমের ক্রসে সাবিনার পাসে ৬ গজ দূর থেকে কৃষ্ণা রানি সরকার পা ছোঁয়ানোর চেষ্টা করছিলেন। তার আগেই সেটি ক্লিয়ার করেন নেপালের এক ডিফেন্ডার।

এরপর ফাঁকে ফাঁকে আক্রমণে ওঠে ভয় ধরানোর চেষ্টা করেছে নেপালও। তবে নেপালের মূল অস্ত্র সাবিত্রা ভাণ্ডারিকে কড়া পাহাড়ায় রাখায় তারা গোলমুখ উন্মুক্ত করতে পারেনি। ফলে গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। গোলের দেখা না পেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় বাংলাদেশ। যার ফলও হাতেনাতে পেয়ে যায় স্বাগতিকরা।

৬৫ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে শাহেদা আক্তার রিপার ডিফেন্স চেরা পাস থেকে অধিনায়ক সাবিনার গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। দুই ডিফেন্ডারকে বুলেট গতিতে পেছনে ফেলে ডান পায়ের দারুণ শটে নেপাল গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন সাবিনা। বল জালে জড়ানোর পরেই উল্লাসে মেতে ওঠে তারা।

এরপর ম্যাচে সমতা আনতে মরিয়া হয়ে ওঠে নেপাল। ৭৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক সেভ করে দলকে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা। তবে ইনজুরি সময়ে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের ভুলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি স্বাগতিকদের। ৯৪ মিনিটে সাবিত্রার কোনাকুনি শটে জালের লক্ষ্যভেদ করেন। তাতে হেড কোচ হিসেবে মাহবুবুর রহমান লিটুর অভিষেকটা হলো ড্র দিয়ে।

এদিকে সাবিনাদের ম্যাচ দেখতে আজ স্টেডিয়ামে এসেছিলেন সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার পর হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে তাকে। বাংলাদেশ দলে কয়েকটি পরিবর্তন হয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়ন স্কোয়াড থেকে। তবে জয় নিয়ে ফেরা হয়নি লাল সবুজ বাহিনীর।