ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:২৩:৩২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

সাতক্ষীরায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৫৭ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। হলুদ, কালো ও সবুজ তরমুজে ভরে গেছে মাচায় চাষকৃত ক্ষেত। আশানুরূপ ফলনে খুশি কৃষক। একই সঙ্গে লাভেরও আশা করছেন তারা।

তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও ভাইড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকের ক্ষেতে মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ। টুঙ্কিনারী, বুলেট কিং ও কানিয়া (বাংলালিঙ্ক) জাতের এসব তরমুজের কোনোটি বাজারজাতের সময় হয়েছে, কোনোটি এখনো জালি। খেতেও সুস্বাদু।  

স্থানীয় কৃষক ইকবাল হোসেন বলেন, আমি প্রথমবারের মতো এক বিঘা পাঁচ শতক জমিতে গ্রীষ্ম তরমুজ চাষ করেছি। এজন্য মে মাসের শেষ সপ্তাহে বীজ রোপণ করি। এর মধ্যে আমার ক্ষেত তরমুজে ভরে গেছে। চলতি সপ্তাহে তরমুজ বিক্রি শুরু করব। তরমুজ চাষে আমার সবমিলিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। 


তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে পাইকাররা এসে দরদাম করে গেছেন। তারা ৩৫-৪০ টাকা কেজি দিতে চান। সে হিসেবে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারব। 


স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টা তাকে তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রচেষ্টা প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে তরমুজ চাষের জন্য বীজ, মালচিং পেপার, জৈব সার, ফেরোমন ফাঁদ এমনকি চাষাবাদের জন্য টাকাও দিয়েছে। আমরা প্রথমে একটু সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলেও এখন দেখছি আসলেই গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ অত্যন্ত লাভজনক।


শুধু ইকবাল হোসেন নয়, তেঁতুলিয়া গ্রামের শিপন বিশ্বাস, সাইফুল বিশ্বাস, রফিকুল ইসলাম ও শরিফুল বিশ্বাস, ভাইড়া গ্রামের মুক্তার মহালদার, লিয়াকত মহালদারসহ আরো অনেকই চাষ করেছেন গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ।


কৃষক শিপন বিশ্বাস বলেন, সাধারণত ধান ও পাট উঠতে চার মাসের অধিক সময় লাগে। সেখানে তরমুজ ওঠে ৫৫ থেকে ৬০ দিনে। তরমুজে লাভ হয় ধান-পাটের চেয়ে কমপক্ষে ছয় থেকে সাত গুণ। আমরা এর পরপরই এই মাচাতেই শসা লাগাব। সেটাও দুই মাসের মধ্যে বিক্রয়যোগ্য হয়ে যাবে। অর্থাৎ একবার ধান বা পাট উঠতে যে সময় লাগে, তাতে একবার তরমুজ একবার শসা চাষ করা যায়। 


বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষিবিদ নয়ন হোসেন বলেন, পিকেএসএফ’র অর্থায়নে উন্নয়ন প্রচেষ্টার সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কৃষিখাতের আওতায় স্থানীয় কৃষকদের উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। প্রথমবারেই তারা উল্লেখযোগ্য সফলতা পেয়েছে। আশা করি মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের প্রযুক্তি এই এলাকায় আরো সম্প্রসারিত হবে।


তালা উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শুভ্রাংশু শেখর দাশ বলেন, তালার ভাইড়া ও তেঁতুলিয়া গ্রামে প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রচেষ্টা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে। প্রশিক্ষণও দিয়েছে। কৃষি বিভাগও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের এই প্রযুক্তি আগামীতে আরো সম্প্রসারিত হবে।